স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

জীবনযাপনের ব্যয়ে দুবাইকে পেছনে ফেলল ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জরিপকারী প্রতিষ্ঠান ‘মার্সার’ ২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও আবু ধাবির চেয়ে ওপরে রয়েছে ঢাকা। মঙ্গলবার ২০৯ শহরকে অন্তর্ভুক্ত করে এ তালিকা প্রকাশ করে মার্সার।


২০২০ সালের তালিকায় রাজধানী ঢাকার অবস্থান ২৬ এ থাকলেও এ বছর তা ১৪ ধাপ পিছিয়ে ৪০তম অবস্থান পেয়েছে। অপরদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী শহর আবু ধাবি ৫৬ এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত দুবাইয়ের অবস্থান তালিকার ৪২তম স্থানে।

ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় বাংলাদেশের নিচে রয়েছে ব্যাংকক, রোম, ওয়াশিংটন, মুম্বাই, ম্যানিলা, টরন্টো, নয়াদিল্লি, মিউনিখ, ব্রাসেলস, বার্লিন ও মস্কোর মতো বড় বড় শহর। অর্থাৎ এসব শহরের চেয়ে ঢাকায় জীবনধারণের ব্যয় বেশি।
মার্সার প্রকাশিত এবারের ‘কস্ট অব লিভিং সিটি র্যাঙ্কিং-২০২১’ শীর্ষক সমীক্ষায় হংকংকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে মধ্য এশিয়ার দেশ তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী শহর আশখাবাত। 

মারাত্মক ও দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক মন্দার ফলে মুদ্রাস্ফীতিসহ বহুমুখী সংকটের মধ্যে থাকা লেবাননের রাজধানী বৈরুত ২০২১ সালে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। অথচ ২০২০ সালে তালিকায় বৈরুতের অবস্থান ছিল ৪৫তম।      

প্রতিষ্ঠানটির ফ্রান্স শাখার গ্লোবাল মোবিলিটি প্র্যাকটিস শাখার প্রধান জ্যাঁ ফিলিপ্পে সারা বলছেন, ‘অতি মাত্রায় মুদ্রাস্ফীতির কারণে’ আশখাবাত আগের জরিপে দ্বিতীয় থেকে চলতি বছরের জরিপে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে। 

তুর্কমেনিস্তান মূলত প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানির ওপর নির্ভরশীল। ২০১৪ সালে বিশ্বে জ্বালানির দামের যে পতন শুরু হয়েছিল তা পুনরুদ্ধারে সংগ্রাম করছে দেশটি। এতে করে দেশটির মুদ্রা মানাতের মান কমেছে এবং দরিদ্র হয়েছে বহু মানুষ।

চলমান অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও দেশটির সরকার গত মে মাসে আশখাবাত নিয়ে বড় ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। স্বৈরশাসক গুরবাঙ্গুলি বেরদিমুখেভব এটিকে ‘বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ শহর’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

মার্সারের এবারের জরিপে অত্যধিক আবাসন ব্যয়ের শহর হংকং শীর্ষ স্থান হারিয়ে চলে গেছে দ্বিতীয় স্থানে। এছাড়া জাপানের রাজধানী শহর টোকিও গত বছরের জরিপে তৃতীয় স্থানে থাকলেও এবার এক ধাপ পিছিয়ে চলে গেছে চতুর্থ স্থানে। 

এক ধাপ পিছিয়ে পঞ্চম স্থানে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ। সবচেয়ে ব্যয়বহুল দশটি শহরের মধ্যে সুইজারল্যান্ডের রয়েছে তিনটি শহর। জুরিখ ছাড়াও তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে জেনেভা এবং দশম স্থানে রয়েছে দেশটির বার্ন শহর।

প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিশ্বের শীর্ষ দশটি ব্যয়বহুল শহরের মধ্যে তালিকায় প্রথম দশে চীনের দুটি শহর রয়েছে। এবার এক ধাপ এগিয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে সাংহাই। এক ধাপ এগিয়ে বেইজিং রয়েছে নবম স্থানে। তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর।

আরো সংবাদ