স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

কাল থেকে চালু হচ্ছে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র

দীর্ঘ সাড়ে ৪ মাস পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে চালু হচ্ছে নগরীর বিভিন্ন পার্ক, চিড়িয়াখানা ও বিনোদন কেন্দ্র। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত পহেলা এপ্রিল থেকে বন্ধ হয়ে যায় দেশের বিনোদন কেন্দ্রগুলো। ইতোমধ্যে নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মালিকপক্ষ প্রস্তুতি সেরে নিয়েছেন। বন্ধ থাকার কারণে শিশুদের খেলনার বিভিন্ন ইক্যুইপমেন্টে পড়েছে ধুলোর আস্তরণ। পার্কের কর্মীরা ধুয়ে মুছে সেইসব যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এছাড়া অনেক ইঞ্জিনচালিত খেলনা মেরামত করতে হচ্ছে।
পার্কের কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, করোনার কারণে বিনোদন কেন্দ্রের মালিকরা প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এর আগে গত বছর সরকার ৬ মাস পর বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেয়। কিন্তু তখনো খুব বেশি দর্শনার্থী আসেনি। বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে কর্পোরেট প্রোগ্রাম এবং পিকনিক থেকে ভালো আয় হতো। কিন্তু করোনার পর সেগুলো একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। এখন তো আমরা ভয়ে আছি, আবার কোন সময় সরকারকে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তারপরও আমরা সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পার্ক পরিচালনা করব। ফয়’স লেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্কের উপমহাব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ আজাদীকে বলেন, পার্ক খোলার সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে থেকে আমরা যাবতীয় রাইডসের মেইনটেনেন্স করতাম। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা এসে সেগুলো মনিটরিং করতেন। এখন ধোয়ামোছার কাজ চলছে। আমরা মাস্ক ছাড়া কোনো দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে দেব না।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, বিনোদন কেন্দ্র খুলছে, তাই আমাদের কর্মীরা এখন খুব ব্যস্ত। ভেতরে আগাছা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। আমরা আমাদের কাজগুলো সেরে নিয়েছি। মাস্ক পরা ছাড়া যেন দর্শনার্থী প্রবেশ করতে না পারে সেটি নিশ্চিত করব।
বহদ্দারহাট স্বাধীনতা পার্কের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী জনি বলেন, করোনার কারণে দ্বিতীয় দফায় গত পহেলা এপ্রিল থেকে পার্ক বন্ধ হয়ে যায়। ১৯ আগস্ট থেকে যেহেতু পার্ক খোলা হবে তাই আমরা এখন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আমাদের পার্কের বাচ্চাদের খেলার ইক্যুপমেন্টগুলো প্রতিদিন চালু করে সচল রাখতাম। সেগুলোতে তেমন সমস্যা হবে না। তবে গত বছরের মার্চের পর আগস্টে যখন প্রথম দফায় পার্ক চালু হয়, তখন দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। এখন স্কুল-কলেজ বন্ধ। আমাদের পার্কে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের পিকনিক হতো। এছাড়া বিভিন্ন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের প্রোগ্রাম থাকত। তাই এখন দর্শনার্থী বেশি হবে বলে মনে হচ্ছে না।
উল্লেখ, গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী ১৯ আগস্ট থেকে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র আসন সংখ্যা শতকরা ৫০ ভাগ ব্যবহার করে চালু করতে পারবে।

আরো সংবাদ