স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

প্রশাসন ক্যাডারের বিবৃতি ‘চটজলদি’ হয়েছে বলেন তথ্যমন্ত্রী

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলা ও পরবর্তী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন যে ভাষায় বিবৃতি দিয়েছে, সেটিকে ‘চটজলদি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তবে এ নিয়ে কোনো সংকট নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।আজ রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এ কথা বলেন।সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বরিশালের বিষয়টি একান্তই স্থানীয়। সেখানে ত্বরিত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তে বেরিয়ে আসবে, আসলে কী ঘটেছিল।

এর আগে বিশেষ কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না তিনি।ওই ঘটনায় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করে দুটি মামলা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের মেয়রকে আসামি করায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হলো কি না? আবার প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বিবৃতি দিয়ে মেয়রকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে, এতে দল ও সরকার বিব্রত কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি একটি স্থানীয় ঘটনা, বিচ্ছিন্ন বিষয়। মামলা যে কারও বিরুদ্ধে হতে পারে। ইতিপূর্বে অনেক মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এটি প্রথম নয়। মামলা হলে সেটি তদন্তে বেরিয়ে না আসা পর্যন্ত এ নিয়ে কিছু বলা সমীচীন নয়। অভিযোগ দায়ের হতে পারে, অভিযোগ সঠিক কি না, সেটি তদন্তের পর বেরিয়ে আসবে।’বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে। জনগণের সমর্থন নিয়ে বিপুল বিজয়ের মাধ্যমে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেন। এরপর দুটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়েই সরকার গঠন করে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়ে বিরোধী দলের আসনে বসতে পারেনি। আসলে বিএনপির পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। খালি কলসি বেশি বাজে। মির্জা ফখরুলের কথাও সে রকম। কথা বলার মধ্যেই তাঁদের রাজনীতিটা সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে।বরিশাল সদর ইউএনওর বাসভবনে হামলা, এরপর সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করে দুটি মামলা এবং এ ঘটনায় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কড়া ভাষার বিবৃতি আওয়ামী লীগে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।খবর অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে যেভাবে আক্রমণাত্মক ভাষা প্রয়োগ করা হয়েছে, সেটা প্রকারান্তরে রাজনীতিকদের আক্রমণ করার শামিল।অন্যদিকে প্রশাসনের সূত্রগুলো বলছে, মেয়রের চাপে দীর্ঘদিন ধরেই বরিশালের স্থানীয় প্রশাসনক্ষুব্ধ। বুধবারের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পেয়েছে। মেয়রসহ ওই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে আমলাদের অবস্থান অনড় আছে। তবে তাঁদের সংগঠনের বিবৃতির পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া আসায় আমলাদের ভূমিকা প্রথম দিকের মতো জোরালো দেখা যাচ্ছে না।

আরো সংবাদ