স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

যতক্ষণ না আমেরিকার সেনা আফগানিস্তান ছাড়ছে, ততক্ষণ নতুন সরকার গঠন করা হবে না

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্দিষ্ট সময়সীমা ৩১ আগস্টের পরও আফগানিস্তানে বিদেশি সেনা উপস্থিতি রাখার পক্ষে কথা বললেও তাকে এর বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে তালেবান। কিন্তু কাবুল বিমানবন্দর থেকে লোকজনকে উদ্ধারের অভিযান আরও সহজ করতে ৩১ অগাস্টের পরেও তা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে তালেবানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে তালেবান জানিয়েছে, যতক্ষণ না আমেরিকার সেনা আফগানিস্তান ছাড়ছে, ততক্ষণ নতুন সরকার গঠন করা হবে না।৩১ অগস্টের মধ্যে আমেরিকার সমস্ত সেনা আফগানিস্তান ছাড়বে বলেই তালেবানের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছিল হোয়াইট হাউজের, প্রাথমিকভাবে এমন খবরই সামনে এসেছিল। গত ১৫ আগস্ট তালেবান বাহিনী কাবুল দখল নিশ্চিত করতেই রাজধানী শহরে বসবাসকারী আমেরিকার নাগরিকেরা আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করে। এর মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার নাগরিককে বাইডেন প্রশাসন দেশে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেও এখনও প্রচুর মানুষ আটকে রয়েছেন কাবুলে।ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ওই সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে জি-৭ বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তালেবানের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নাগরিদের দেশে ফেরানোর কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে। সময়সীমা বাড়ানো হবে না। সমঝোতার অন্যথা হলে পরিণাম খারাপ হবে বলেই ব্রিটেনের সংবাদ মাধ্যমে হুমকি দিয়েছেন এক তালেবান মুখপাত্র। তার পরই তালেবান সূত্রের তরফে বলা হল, আফগানিস্তানে এক জন আমেরিকার সেনা থাকলেও নতুন সরকার গড়বে না তারা।পানশির দখলে এগুচ্ছে তালেবান : আফগানিস্তানের অজেয় ‘দুর্গ’ পানশির উপত্যকা দখলে এবার অগ্রসর হচ্ছে তালেবান। ওদিকে, তাদের বিরুদ্ধে লড়তে হাজারো যোদ্ধা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে তালেবান-বিরোধী একটি প্রতিরোধগোষ্ঠী। তালেবান-বিরোধী ন্যাশনাল রেসিসটেন্স ফ্রন্ট অব আফগানিস্তান (এনআরএফ) এর বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক প্রধান আলি নাজারি বিবিসি-কে বলেন, তারা এখনও শান্তিপূর্ণ আলোচনা চালাতে চান। তিনি বলেন, ‘যদি এই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা কোনও ধরনের আগ্রাসন মেনে নেব না।’তালেবান এরই মধ্যে পানশিরে এনআরএফ এর ঘাঁটি ঘিরে ফেলা এবং গোষ্ঠীটিকে অবরুদ্ধ করে ফেলার দাবি করেছে। তালেবান প্রতিরোধগোষ্ঠীর সদস্যরাও বলেছেন, তালেবান এখন কাবুলের উত্তরপশ্চিমের এই অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।ভৌগোলিক কাঠামোর কারণেই পানশির এক দুর্ভেদ্য দুর্গ। কোনও বাহিনী সেখানে প্রবেশের দুঃসাহস করতে পারে না। চারদিকে উঁচু পাহাড় ঘেরা এ প্রদেশের মাঝখানে আছে সমতল ভূমি। বাইরের যে কারও জন্য সে জায়গা যেন এক গোলকধাঁধা। এই অঞ্চলটি এখনও ন্যাশনাল রেসিসটেন্স ফ্রন্ট অব আফগানিস্তান (এনআরএফ) এর নিয়ন্ত্রণাধীন। এই দলটি সোভিয়েত-বিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলনের অন্যতম নেতা আহমাদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমাদ মাসুদ প্রতিষ্ঠা করেছেন ১৯৮০’র দশকে।

আরো সংবাদ