স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

ক্লিনফিড দিলে বিদেশি চ্যানেল প্রচার করা যাবে

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশি যে সব চ্যানেল ক্লিনফিড দিচ্ছে এগুলো চালানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। আকাশ ডিটিএইচ এগুলো চালাচ্ছে। অন্যদেরও এগুলো চালানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। এ বিষয়ে কোনো পত্রের প্রয়োজন হলে আমরা তা ক্যাবল অপারেটরদের কাছে পাঠাবো। যদি এরপরও কেউ এগুলো না চালায় তাহলে লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ হবে। সুতরাং শর্ত ভঙ্গের কাজ কেউ করবেন না। সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে গ্রহণ করা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য আমাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন আপনারা, সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চ্যানেল বন্ধ করতে বলা হয়নি। আমরা শুধু বলেছিলাম যে, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যা পৃথিবীর সব দেশেই আছে। যে আইন ইউরোপ, আমেরিকাসহ বহু দেশেই বলবৎ। এমনকি নেপালের মতো দেশেও সেই আইন বলবৎ। সেটি হচ্ছে বিদেশি চ্যানেলকে অবশ্যই বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার করতে হবে এবং সেটি ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, আমেরিকাসহ সব জায়গায়ই মানা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে মানা হচ্ছিল না।
তিনি আরও বলেন, আইনটি মানার জন্য দুই বছর ধরে তাগাদা দেওয়া হচ্ছিল। সব পক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। এক মাসের বেশি সময় আগে বৈঠক করে আমাদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ছিল, ১ অক্টোবর থেকে আমরা আইনটি কার্যকর করবো। বৈঠকে টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সম্প্রচার জার্নালিস্ট ফোরাম, ক্যাবল অপারেটর, ডিস্ট্রিবিউটররা ছিলেন। সেই সভায় সিদ্ধান্ত ছিল ১ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর করা হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।মন্ত্রী বলেন, ক্লিনফিড নিয়ে একটি মহল থেকে বিভ্রান্ত ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমি আশা করবো তারা বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকবে। সরকার আইন বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। জনগণের স্বার্থে, মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে, শিল্পী-কলাকুশলী, সাংবাদিক সবার স্বার্থে এ আইন কার্যকর করেছি। কাজেই এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনও সুযোগ নেই। এ নিয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়াবে, সরকারকে বিব্রত করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আইপি টিভি সময়ের দাবি উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, শতশত আইপি টিভির প্রয়োজন নেই। ব্যাঙের ছাতার মতো এদের কার্যক্রম পরিচালিত হতে দেওয়া হবে না। আইপি টিভিকে অবশ্যই সরকারের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে সম্প্রচার করতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকার রেজিস্ট্রেশন নীতিমালা তৈরি করছে। এর আগে অ্যাটকোর সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, ইকবাল সোবহান চৌধুরী ক্লিনফিড বাস্তবায়নের জন্য তথ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

আরো সংবাদ