স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

সময়ের আগেই চালু হবে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেল

প্রায় শেষ পর্যায়ে কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের সুড়ঙ্গ বা টিউবের খননকাজ। বাকি মাত্র ১০ মিটার। এইটুকু খনন করতে আর মাত্র দুই দিন লাগতে পারে। অর্থাৎ আগামী শুক্রবারের মধ্যে এই খননকাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।দুটি সুড়ঙ্গ খনন শেষ হওয়ার মাধ্যমে কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের জটিল কাজ সমাপ্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পটির প্রকৌশলীরা। বাকি থাকবে শুধু রাস্তা তৈরি ও অন্যান্য কাজ, যেখানে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ নেই।২০২২ সালের ডিসেম্বরে এই প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা। তবে তার আগেই টানেলটি চালুর আশা করা হচ্ছে। এটি দিয়ে যান চলাচল শুরু হলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রামগামী যানবাহনকে আর চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করতে হবে না। সিটি আউটার রিং রোড হয়ে টানেলের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। এতে চট্টগ্রাম শহরে যানবাহনের চাপ কমে যাবে।অবশ্য এই প্রকল্প বড় ভূমিকা রাখবে কক্সবাজারের মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রবন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হওয়ার পর। মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর হওয়ার পর চট্টগ্রাম হয়ে যানবাহন এই টানেল দিয়ে সহজে চলাচল করতে পারবে।কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের আরেকটি বিশেষ দিক হলো, এই প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়াতে হয়নি। দেশে বড় প্রকল্পগুলোতে দফায় দফায় মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর ঘটনা ঘটেছে।পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রায় সময় আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে শেষ হয় না। শুধু সময় বাড়ানো হয়। টাকাও বাড়ানো হয়। কিন্তু কর্ণফুলী টানেলের বেলায় এমনটি হয়নি।’ তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই টানেল প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে।

আরো সংবাদ