স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

রেল খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ তুরস্কের

বাংলাদেশ রেলওয়েতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে তুরষ্ক। গতকাল (১০ অক্টোবর) রোববার রেলভবনে মন্ত্রীর দপ্তরে নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরানের বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানানো হয়।সাক্ষাত শেষে রেলমন্ত্রী বলেন, রেল খাতে আমরা বিদেশি বিনিয়োগ খুঁজছি। বর্তমানে রেলওয়েতে অনেক প্রকল্প চলমান আছে এবং আগামীতে আরও অনেক প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। মন্ত্রী উল্লেখ করেন, রেল খাতের উন্নয়নে আমাদের একটি মহাপরিকল্পনা আছে, সেটি ধরে ধরে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিচ্ছি।তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশের রেললাইন ছিল তিন হাজার কিলোমিটার আর বর্তমানে দুই হাজার ৮০০ কিলোমিটার হয়েছে। আমাদের রেলপথ যমুনা নদী দ্বারা দুই ভাগে বিভক্ত। পশ্চিমে ব্রডগেজ আর পূর্বে মিটারগেজ। আমাদের বেশির ভাগই সিঙ্গেল লাইন। আমরা পর্যায়ক্রমে সকল সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইনে উন্নীত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। রেলমন্ত্রী বলেন, জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করেছেন। তখন থেকেই সরকার রেলখাতে বিনিয়োগ শুরু করে।বর্তমানে চলমান কয়েকটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন লাইন নির্মাণ, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ, যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেলসেতুর নির্মাণ কাজ চলমান। ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আমরা নতুন নতুন লোকোমোটিভ ও প্যাসেঞ্জার কোচ বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করছি। কারখানা সমূহকে আধুনিকায়ন করছি। পর্যায়ক্রমে আমরা ইলেকট্রিক ট্রাকশন এর দিকে যাব।তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান বলেন, যেকোনো দেশের পরিবেশবান্ধব, সহজ ও সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা হচ্ছে রেলওয়ে। বাংলাদেশ এবং তুরস্কের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে রেলখাতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, তুরস্ক দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কেনান কালাইসি উপস্থিত ছিলেন।

আরো সংবাদ