স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

বঙ্গবন্ধু টানেল ৪ লেনের কাজ শেষ পর্যায়ে

দৃশ্যমান হচ্ছে আনোয়ারা অংশের সংযোগ সড়ক

বঙ্গবন্ধু টানেলের আনোয়ারা অংশে ৪ লেনের ৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে অপর প্রান্তের কাজও। সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আনোয়ারা অংশের মুখ থেকে চাতরী হয়ে কালারমার দীঘি পর্যন্ত ৪ লাইনের ৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের কাজ চলছে দিনরাত সমান তালে। ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সংযোগ সড়কের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
টানেলের শহরের পতেঙ্গা অংশ থেকে সকল ধরনের যানবাহন আনোয়ারা অংশ দিয়ে বের হয়ে নির্বিঘ্নে সংযোগ সড়ক দিয়ে চাতরীর পার্শ্ববর্তী ক্রসিং হয়ে ৬ লেনের মূল সড়কে যুক্ত হবে। এরপর সেখান থেকে শিকলবাহা ক্রসিং পর্যন্ত ৬ লেইনের সড়ক দিয়ে নির্বিঘ্নে চলে যাবে। এরপর ক্রসিং থেকে বিদ্যমান সড়ক দিয়ে কক্সবাজার-মাতারবাড়ি চলে যাবে।
বঙ্গবন্ধু টানেলের আনোয়ারা অংশের বাসিন্দা রফিক আহমদ খান জানান, দেখতে দেখতে স্বপ্নের মতোই বঙ্গবন্ধু টানেল হয়ে গেল। বিশাল সংযোগ সড়কের কাজ চলছে দিনরাত। এই সড়ক দিয়ে যখন যানবাহন চলাচল শুরু হবে তখন এই এলাকার মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত হবে। কর্মচঞ্চল হয়ে উঠবে পুরো এলাকা। টানেলের সংযোগ সড়কের চাতরী চৌমুহনী এলাকায় দেখা হয় স্থানীয় সংবাদকর্মী মো. মহিউদ্দিন ও স্থানীয় বাসিন্দা কলেজছাত্র মো. রিয়াদের সঙ্গে। তারা দুইজনই জানান, টানেলকে ঘিরে আনোয়ারা অংশে শুরু হওয়া বিশাল কর্মযজ্ঞের কথা। সামনের দিনগুলোতে এই টানেলকে কেন্দ্র করে আনোয়ারা অর্থনৈতিক, যোগাযোগ ও অবকাঠামোর দিক দিয়ে একটি আধুনিক উপশহর হিসেবে গড়ে উঠবে এমনই স্বপ্নের কথা জানান দুই তরুণ।
এই ব্যাপারে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে আসা গাড়িগুলো ৬ লাইনের সংযোগ সড়ক দিয়ে শিকলবাহা ক্রসিং পর্যন্ত নির্বিঘ্নে আসতে পারবে। টানেলের আনোয়ারা প্রান্তের সংযোগ সড়ক হয়ে গাড়িগুলো চাতরী চৌমুহনীর ৪শ মিটার সামনে আমরা যে ক্রসিং করব সেখান থেকে ৬ লাইনের সড়ক দিয়ে শিকলবাহা ক্রসিং চলে যেতে পারবে। এজন্য ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে আনোয়ারার কালাবিবির দীঘির মোড় থেকে পিএবি সড়কের শিকলবাহা ওয়াই জংশন পর্যন্ত ৮ দশমিক ১ কিলোমিটার ছয় লেন এবং কালাবিবির দীঘি থেকে আনোয়ারা উপজেলা সদর পর্যন্ত ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার দুই লেন সড়কের নির্মাণ কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। বরাদ্দের মূল সড়কে ব্যয় হবে ২৬৭ কোটি টাকা। জমি অধিগ্রহণে ৯০ কোটি টাকা এবং বাকি ১১৩ কোটি টাকা বিবিধ ক্ষতিপূরণে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এনডিএ’ এ কাজ করছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই সড়কের কাজ শেষ হবে বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ।

আরো সংবাদ