স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

শাহজালাল বিমানবন্দরে চালু হচ্ছে ই-গেট, ইমিগ্রেশন হবে পুলিশ ছাড়াই

বাংলাদেশের প্রধান বিমানবন্দর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালু হতে যাচ্ছে ই-গেট (স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থা)। এর ফলে যাত্রীরা ইমিগ্রেশন পুলিশের মুখোমুখি হওয়া ছাড়া নিজেই ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারবেন। বিমানবন্দরে স্থাপিত ২৭টি ই-গেটে যাত্রীরা তাদের ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।

বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হলেও চালু করা হয়নি। তবে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেশ কয়েকবার ই-গেট চালুর তাগিদ দিলে জোরেশোরে কাজ শুরু করে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং ইমিগ্রেশন পুলিশ। এজন্য আগামী ৭ জুলাই ই-গেট চালু করার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। তিনি জানান, আশা করছি শিগগিরই এই ই-গেট চালু হবে। যদি জুলাই মাসে ই-গেট চালু করা যায় তাহলে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ই-গেট চালুর স্বীকৃতি পাবে। এদিকে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) জানায়, মূলত ইমিগ্রেশন পুলিশ ই-গেট পরিচালনায় কাজ করবে। এতদিন ই-পাসপোর্ট সার্ভার এবং ই-গেটের মধ্যে কোনো সংযুক্তি না থাকায় এই গেট চালু করা যায়নি। তবে বর্তমানে ইমিগ্রেশন পুলিশ এই সংযুক্তি স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। প্রতিটি ই-গেটের সঙ্গে একটি ক্যামেরা সংযুক্ত থাকবে। যাত্রী ইমিগ্রেশন করার সময় তার ছবি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তোলা হবে।

শাহজালাল বিমানবন্দরে বর্তমানে ২৭টি ই-গেট থাকলেও এই সংখ্যা ৫০-এ উন্নীত করা হবে।

বাংলাদেশের প্রধান বিমানবন্দর ঘিরে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। খনন নির্মাণ করা হচ্ছে সীমানাদেয়াল, গার্ডরুম। সার্ভিস সড়ক নির্মাণের কাজও চলমান। জোরেশোরে চলছে তৃতীয় টার্মিনারের নির্মাণ কাজ। সেটি বর্তমান দুটি টার্মিনালের দ্বিগুণের বেশি। ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার এলাকা।

নির্মাণাধীণ তৃতীয় টার্মিনালে ঢুকেই প্রবাসীদের যাতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে না হয়, সে জন্য থাকছে ১১৫টি চেক ইন কাউন্টার। চেক ইন পর্ব শেষ করা হলেই ইমিগ্রেশন। তৃতীয় টার্মিনালে নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ। যেটি সংযুক্ত থাকবে উড়োজাহাজের সঙ্গে। বহির্গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টার তৈরি করা হচ্ছে ৬৪টি। একই সঙ্গে আগমনী ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে ৬৪টি। আপনার লাগেজ বা ব্যাগ টানার জন্য নির্মাণ করা হবে ১৬টি কনভেয়ার বেল্ট।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তৃতীয় টার্মিনালে মোট ৩৭টি অ্যাপ্রোন পার্কিং থাকবে। অর্থাৎ এক সঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করতে পারবে। এখন ২৯টি অ্যাপ্রোন পার্কের সুবিধা আছে। শাহজালাল বিমানবন্দরে এখন চারটি ট্যাক্সিওয়ে আছে। নতুন করে আরও দুটি ট্যাক্সিওয়ে যোগ হচ্ছে। রানওয়েতে উড়োজাহাজকে যাতে বেশিক্ষণ থাকতে না হয়, সে জন্য নতুন দুটি ট্যাক্সিওয়ে তৈরি করা হচ্ছে।

আরো সংবাদ