স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

চট্টগ্রামে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজারের খনি, ব্যবহারে ক্যান্সারের ঝুঁকি

মহামারি করোনার এই সময়ে বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিয়ে চট্টগ্রামে যেখানে সেখানে চলছে নকল ও নিম্নমানের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবাণুনাশকের রমরমা ব্যবসা।

চিকিৎসকরা বলছেন, রঙ মিশানো ক্ষতিকর এই কেমিক্যাল ব্যবহারে ডেকে আনতে পারে ক্যান্সার ও চর্মরোগ। নানা সময় অভিযান চালালেও অসাধু ব্যবসায়ীদের থামানো যাচ্ছে না।

চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানহাটে রং আর বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশিয়ে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হ্যাক্সিসল বানানোর কারখানায় অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। ল্যাব ও কেমিস্ট ছাড়াই ড্রাম থেকে বোতলজাত করে তা বিক্রি করা হচ্ছিলো নানা ব্রান্ডের নামে। ছিলো না ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদনও।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারক জানান, উদ্ধার করা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের উপর বেজ করে আমরা আসলে মূল কারখানার দিকে ধাবিত ছিলাম। আমরা কয়েকটি কারখানা খুঁজে পেয়েছি। এগুলো থেকে আমরা অসংখ্য স্যানিটাইজার উদ্ধার করে জরিমানা করেছি।

চাহিদা বাড়ায় নিম্নমানের এসব রং মিশানো হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেদারসে বিক্রি হচ্ছে নগরীর যেখানে সেখানে। বোতলের গায়েও নেই কোনো কোম্পানির বা ব্রান্ডের স্টিকার। কোথা থেকে এবং কার অনুমতিতে এসব বিক্রি করা হচ্ছে তার কোনো সদুত্তর নেই বিক্রেতাদের কাছে।

ক্রেতারা বলছেন, এগুলো না জেনে কিনলে আমাদের চর্মরোগ হতে পারে।

বিক্রেতারা বলছেন, আমরা দুই চারটা কিনি তাতে করে কিভাবে স্টিকার লাগাবো।

চিকিৎসকরা বলছেন, এসব কেমিক্যালে জীবাণু ধ্বংসের উপদান না থাকলে উল্টো চর্মরোগসহ ত্বকের নানা সমস্যা হবে।

চমেক চর্ম ও যৌনরোগ সহকারী অধ্যাপক ডা. অজয় কুমার ঘোষ বলেন, যেহেতু মানসম্মত না সেহেতু এটি আমাদের করোনা থেকে মুক্তি করতে পারবে না। সেহেতু এসব স্যানিটাইজার ব্যবহারে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি জানান, নকল পণ্যের জন্য ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালাতে হবে। করোনাভাইরাসের এখন মোক্ষম অস্ত্র নিয়মিত হাত ধোয়া, স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ মানসম্মত হ্যান্ডস্যানিটাইজার ব্যবহার করা। আর এগুলো নকল হলে করোনা মোকাবিলার অস্ত্র ভোতা হয়ে যাবে।

নগরীর গোলাম রসুল মার্কেট, জুবলি রোড ও হাজারি গলিসহ কয়েক’শো জায়গায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নকল ও ক্ষতিকর সুরক্ষা সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে ।

আরো সংবাদ