স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

করোনায় চট্টগ্রামের মারা গেল ৫২১ জন!

এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩ হাজার ২৮৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৯ জনে।

শনিবার (৪ জুলাই) ঢাকার মহাখালী থেকে নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬৭৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হলেন ৭০  হাজার ১২১ জন। সারা দেশ থেকে নতুন করে ১৩ হাজার ৮৭১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নতুন ও  পুরাতন মিলিয়ে ১৪ হাজার ৭২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত ৮ লাখ ৩২ হাজার ৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, নিহতদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ, ৮ জন নারী। এরমধ্যে নয়জন ঢাকা বিভাগের, চারজন চট্টগ্রামের, রাজশাহী বিভাগের সাতজন, খুলনা ও সিলেট বিভাগের তিনজন করে, বরিশাল বিভাগের দুইজন ও ময়মনসিংহ বিভাগের একজন মারা গেছেন।

বয়স ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন,  ৪১ থেকে ৫০ বয়সের মধ্যে চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন ও ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুইজন আছেন। হাসপাতালে মারা যান ২৫ জন ও বাসায় ১ জন। মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় তিনজনকে।

নাসিমা সুলতানা বলেন, এখন পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে সবচে বেশি মৃত্যু হয়েছে। সেখানে ১ হাজার ৪১, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫২১ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০১ জন, খুলনা বিভাগে ৮২ জন, সিলেট বিভাগে ৮৪ জন, বরিশাল বিভাগে ৬৭ জন, রংপুরে ৫৩ জন এবং ময়মংসিংহ বিভাগেন ৪৮ জন মারা গেছেন।

বরাবরের মতোই বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত চার মাসে বিশ্বের ২১৫টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে।

আরো সংবাদ