স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

২ পাঙ্গাশের ওজন ৪৮ কেজি, দাম ৬২ হাজার টাকা

আষাঢ়ের শেষের দিকে পদ্মা নদীতে পানি বাড়ছে। একই সঙ্গে একের পর এক ধরা পড়ছে বিশাল আকৃতির মাছ। এতে জেলেদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

আজ সোমবার (৬ জুলাই) সকালে জেলে গুরু হলদারের জালে ২৮ কেজি ওজনের একটি পাঙ্গাশ, জেলে রহমান হলদারের জালে ২৮ কেজি ওজনের একটি কাতল ও শাহীন হলদারের জালে ধরা পড়ে ২০ কেজি ওজনের আরেকটি পাঙ্গাশ মাছ।

গুরু হলদার বলেন, সকালে তার জালে বিশাল আকৃতির পাঙ্গাশটি ধরা পড়ে। পরে সেটি মাপা হলে ২৮ কেজি ওজন হয়।

তিনি জানান, তার কাছ থেকে মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা ১৩৫০ টাকা কেজি দরে ৩৭ হাজার ৮০০ টাকায় সেটি কিনে নেন। এ সময় নদীর পাড়ে মাছটি দেখতে মানুষ ভিড় করে।

২৮ কেজি ওজনের কাতল মাছ। বিক্রি হয়েছে ২৪ হাজার টাকায়।

জেলে রহমান হলদার বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের নিচ এলাকা থেকে তার জালে ২৮ কেজি ওজনের কাতল মাছ ধরা পড়ে। মাছটি আড়তে প্রতি কেজি ১৫০০ টাকা দরে ৪২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।

অপর জেলে শাহীন হলদার বলেন, পদ্মায় তার জালে ধরাপড়া ২০ কেজি ওজনের পাঙ্গাশ মাছটি ১২০০ টাকা কেজিতে ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।

২৮ কেজি ওজনের পাঙ্গাশ মাছটি কিনে লাভ করেছেন মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা। তিনি জানান, ভোরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের অদূরে গুরু হলদারের জালে পাঙ্গাশটি ধরা পড়ে। তিনি সেটি ১৩৫০ টাকা কেজি দরে কিনে নেন। পরে প্রতিকেজি ১৫০০ টাকা দরে বিক্রি করেন।

পদ্মা নদীতে পানি বেশি হওয়ায় বড় বড় মাছ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

দৌলতদিয়া ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী মো. শাজাহান সম্রাট বলেন, রহমান হলদারের ২৮ কেজি ওজনের কাতল মাছটি ও শাহীন হলদারের ২০ কেজি ওজনের পাঙ্গাশ মাছটি আড়তে নিয়ে আসলে তিনি কিনে নেন।

পরে গাজীপুরের দুই ব্যবসায়ী তার কাছ থেকে কাতল মাছটি ১৮০০ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার ৪০০ টাকায় এবং পাঙ্গাশ মাছটি ১৩০০ টাকা কেজিতে ২৬ হাজার টাকায় কিনে নেন।

আরো সংবাদ