স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

আজানের ধ্বনিতে বর্ণিল বুর্জ খলিফা

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিগত কয়েক মাস সংযুক্ত আরব আমিরাতের মসজিদসমূহ বন্ধ ছিলো। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে যাওয়ায় দেশটির মসজিদগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।

নামাজের জন্য মসজিদ খুলে দেওয়ার মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে বুর্জ খলিফায় আজান দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আজানের বাক্য ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ বলার সঙ্গে সঙ্গে টাওয়ারে আলোকসজ্জার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ ধ্বনি। বর্ণিল আলোয় আরবিতে ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ লেখা দেখে দর্শকরা আল্লাহু আকবার তাকবির দিয়ে মুহূর্তটি স্মরণীয় করে রেখেছেন।

আজান শেষে আরব আমিরাতে পুণরায় মসজিদ খোলার জন্য টাওয়ারের পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন জানানো হয় এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।

এই দারুণ মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দি করেছেন হাজারও মানুষ। তারা সেসব ছবি ও ভিডিও পোস্ট করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

নানা উপলক্ষে বিভিন্ন সময় বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফাকে আলোকসজ্জায় সাজানো হয়। বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি, কারো প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশার্থে এমনটি করা হয়।

করোনা মহামারির ফলে অর্থনৈতিক সংকটে পড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাসিন্দাদের জন্য খাবারের জন্য অর্থ জোগাড় করতে বুর্জ খলিফাকে একটি ঝলমলে দান বাক্সে পরিণত করা হয়। ফলে মানুষ সাহায্যের হাত বাড়ায়।

বুর্জ খলিফার উচ্চতা ৮২৮ মিটার (প্রায়)। পুরো স্থাপনাটি মোট ১৬৪ তলা। ১৬৩ তলা মাটির ওপরে, আর মাটির নিচে ১ তলা। স্থাপনাটিতে মোট ৫৮টি লিফট আছে। বুর্জ খলিফায় ৯০০টি অ্যাপার্টমেন্ট ও ৩০৪টি বিলাসবহুল হোটেল কক্ষ আছে। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য বরাদ্দ জায়গাটির পরিমাণ ১১ হেক্টর। বুর্জ খলিফার প্রথম তলা থেকে ১৬০ তলা পর্যন্ত মোট ২৯০৯টি সিঁড়ি আছে।

বুর্জ খলিফার প্রথম নাম ছিল বুর্জ দুবাই। সংযুক্ত আরব আমিরাতের খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নামানুসারে পরবর্তীতে এর নাম বুর্জ খলিফা রাখা হয়। বুর্জ কথাটির মানে টাওয়ার বা মিনার। ২০১০ সাল থেকে বুর্জ খলিফাই মানুষের হাতে নির্মিত পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থাপনা।

বুর্জ খলিফা পৃথিবীর নানা প্রান্তের পর্যটনপ্রিয় মানুষের আকর্ষণের বিষয় হয়ে উঠেছে। সেসঙ্গে এটি দুবাইয়ের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্রও বটে।

আরো সংবাদ