স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করছে চট্টগ্রাম, প্রথম পাচ্ছেন একজন মুক্তিযোদ্ধা

চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার পাঠানটুলীর নজির ভান্ডার লেইন এলাকার বাসিন্দা মুক্তিযাদ্ধা জাহেদ আহমেদের হাতে ১০ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট তুলে দেয়ার মাধ্যমে সর্বাধুনিক ইলেকট্রনিক পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করছে চট্টগ্রাম।

রোববার (১২ জুলাই) মুক্তিযোদ্ধা জাহেদ, সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড কমান্ডের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকীসহ পাঁচ জনের হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দেওয়া হবে।

বিশ্বের উন্নত দেশগুলো ২০০৮ সালে ই-পাসপোর্ট চালু করলেও বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল ২০১৬ সালে। ২০২০ সালে ই-পাসপোর্ট চালুর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছিল সরকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী বছরের শুরুতে ঢাকায় ই-পাসপোর্ট সেবা চালুর মাধ্যমে বিশ্বের ১১৯ নম্বর দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করে। চট্টগ্রামে আরো আগে চালু হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা পিছিয়ে যায়।

পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছর এবং ১০ বছর মেয়াদের দুই ধরনের ই-পাসপোর্ট দেয়া হচ্ছে। এক ধরনের বইতে ৪৮ পৃষ্ঠা, অপর ধরনের বইয়ে থাকবে ৬৪ পৃষ্ঠা। ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৪ হাজার ২৫ টাকা, ৬৪ পৃষ্ঠার ফি ৫ হাজার ৭৫০ টাকা।

অপরদিকে ১০ বছর মেয়াদের ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা, ৬৪ পৃষ্ঠার জন্য ফি ৮ হাজার ৫০ টাকা। জরুরি এবং অতি জরুরি পাসপোর্ট নেয়ার ক্ষেত্রে এই ফি’র সাথে বাড়তি ফি যোগ হবে। কিন্তু করোনাকালে জরুরি ও অতি জরুরি সুবিধা কার্যকর হবে না।

ই-পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। বর্তমানে এমআরপি ডেটাবেইসে যেসব তথ্য আছে তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে। এছাড়া চোখের মণির ছবি ও দশ আঙুলের ছাপ থাকবে। ই-পাসপোর্টের জন্য দেশের ইমিগ্রেশনগুলোতে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে।

সরকারি হিসেবে দেশে বর্তমানে প্রায় দুই কোটি মানুষের হাতে পাসপোর্ট রয়েছে। দেশের পাসপোর্ট অফিসগুলোতে প্রতিদিন গড়ে ২৫ হাজার মানুষ নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে। একই মেশিনে প্রত্যেক আবেদনকারীর আঙুলের ছাপ (ফ্রিঙ্গার প্রিন্ট), স্বাক্ষর ও চোখের মণির ছবি (আইরিশ) তোলা করোনা সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে বায়োমেট্রিক কার্যক্রম সীমিত রাখা হয়েছে।

ই-পাসপোর্ট সেবা চালুর পাশাপাশি এমআরপিও চালু থাকবে। বিদ্যমান ফিতে এমআরপি সংগ্রহ করা যাবে। আবেদনকারীর আবেদনের ভিত্তিতে ই-পাসপোর্ট এবং এমআরপি প্রদান করা হবে।

আরো সংবাদ