স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

পুলিশের এসআইকে সাইড না দেয়ায় এমপির গাড়ি চালকের হাতে হ্যান্ডকাফ

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পুলিশের এক এসআইকে সাইড না দেয়ায় এমপি বকুলের গাড়ি চালকের হাতে হ্যান্ডকাপ পরানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশি মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এমপি বকুলের দুই গাড়ি চালককে মারপিট এবং এসআইকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়ার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে।

আজ মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মালঞ্চি রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, নাটোর-১ (বাগাতিপাড়া-লালপুর) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের দুই গাড়ী চালক আব্দুল মোমিন ও ইয়াকুব আলী মোটরসাইকেল নিয়ে এমপি’র বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এসময় উপজেলার মালঞ্চি রেলগেট পার হওয়ার সময় পিছন থেকে সাইড চায় বাগাতিপাড়া থানার এসআই রাকিব। কিন্তু মোটরসাইকেলটি রেলগেটের উঁচু থেকে নিচের ঢালে নামার কারণে সাইড দিতে দেরি হয়। এ ঘটনায় এসআই রাকিব এমপি বকুলের গাড়ী চালক আব্দুল মোমিনকে থামিয়ে প্রকাশ্যে চড়-থাপ্পড় মারে বলে জানায় স্থানীয়রা।

এসময় পিছনে থাকা আরেক গাড়ী চালক ইয়াকুব আলী এসআই রাকিবকে বাধা দিলে এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে চালক ইয়াকুবকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে টানা হেঁচড়া করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেস্টা করে পুলিশ সদস্যরা। সে সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম গকুল অফিসে যাওয়ার সময় বিষয়টি তার নজরে এলে পুলিশের কাছ থেকে তাদের ছাড়িয়ে নেয়। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলে মালঞ্চি রেলগেট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়।

এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া থানার ওসি নাজমুল হক বলেন, এসআই রাকিব দ্রুত এক অভিযানে যাওয়ার সময় ওই দুই গাড়ি চালক তার সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু তারা রাকিবকে সাইড দিচ্ছিলনা। পরে তাদের থামিয়ে এসআই রাকিব সাইড না দেওয়ার বিষয়ে কথা বলার সময় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে গাড়ি চালকদের একজন এসআই রাকিবকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। তবে গাড়ি চালকদের কোন মারপিট করার অভিযোগ অস্বীকার করেন ওসি নাজমুল।

সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, মালঞ্চি রেলগেট থেকে নামার সময় এসআই রাকিবকে আমার ড্রাইভার সাইড না দেয়ার কারণে তাদেরকে অন্যায় ভাবে মারপিট করেছে। বিষয়টি আমি পুলিশ সুপার এবং ওসিকে অবহিত করেছি। তাছাড়া বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকে জানানো হবে।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে বিষয়টি শুনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত আড়াই মাস পুর্বে একই এমপি’র একান্ত সহকারী আহসানুল হক অভিকে বিহারকোল বাজারে গাড়ি থামাতে বলে লাঞ্চিত করার অভিযোগ রয়েছে এসআই রাকিবের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় সে সময় নাটোর পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগও করেছিলেন এমপির একান্ত সহকারী আহসানুল হক অভি।

আরো সংবাদ