স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

খুলনায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৬ জন

খুলনায় প্রতিপক্ষের গুলিতে ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে ৬ জন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহানগরীর খান জাহান আলী থানার মশিয়ালীর ইস্টার্ন গেটে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-আটরা গিলাতলা এলাকায় নজরুল ইসলাম (৬০) ও গোলাম রসুল (৩০)। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সাইফুল, আফসার শেখ, শামীম, রবি, খলিল ও মশিয়ার।

খান জাহান আলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শওকাত আলী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার খানজাহান আলী থানা পুলিশ অস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। যিনি জাকারিয়া গ্রুপের সদস্য বলে জানা যায়। তাদের ধারণা প্রতিপক্ষের লোকজনকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে। যার সূত্র ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হলেও গুরুতর আহত অবস্থায় নজরুল ও রসুলকে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া আহতদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় নাম উঠে আসা জাকারিয়া খান জাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক এবং জাফরিন খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি বলে জানা যায়।

তবে কেউ কেউ বলছেন, মশিয়ালীতে জাফরিন, জাকারিয়া ও মিল্টন তিন ভাইয়ের একটি বাহিনী রয়েছে। তাদের সঙ্গে এলাকার ফকির গংদের দীর্ঘদিনের শত্রুতা রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ফকির গংদের সঙ্গে মিল্টনের নারী সংক্রান্ত একটি ব্যাপার নিয়ে কথাকাটা কাটাকাটি হয়। পরে ফকির গংরা ওই তিন ভাইয়ের বাড়িতে হামলা চালাতে যায়। এ সময়ে তারা তিন ভাই জাকারিয়ার নেতৃত্বে গণহারে গুলি চালায়।

এদিকে, এলাকার ৩/৪টি মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে লোক জড় করে জাকারিয়াদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় তার পতিপক্ষ।

খান জাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের পর ফুলতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুইজন মারা যায়। অন্যদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।

আরো সংবাদ