স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

ক্রিকেটার তামিম ৯০, মাহমুদউল্লাহ ৭০ হাজার ডলারের অফার ফিরিয়েছেন

 ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) এবারের আসরে খেলবেন না কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার। ড্রাফটের বাইরে তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের সিপিএল খেলার প্রস্তাব ছিল। কিন্তু জাতীয় দলের তিন ক্রিকেটারই সিপিএলের অফার ফিরিয়ে দিয়েছেন।

সিপিএলে তামিম ইকবালের অফার ছিল ৯০ হাজার মার্কিন ডলারের। যা বাংলাদেশি অর্থমূল্যে ৭৬ লক্ষ টাকার সমান। এদিকে মাহমুদউল্লাহ পেতেন ৭০ হাজার ডলার (প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা)। মুস্তাফিজের অফার জানার জন‌্য চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন যদি মুস্তাফিজ সিপিএলে অংশগ্রহণ করতেন তাহলে ৪০ থেকে ৫০ হাজার ডলারের মতো পেতেন।

ফ্র্যাঞ্চাইজি এ টুর্নামেন্টে দ্বিতীয়বারের মতো অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল তামিমের। ২০১৩ সালে তামিম খেলেছিলেন সেন্ট লুসিয়ার হয়ে। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক সিপিএলে অংশগ্রহণ না করার কারণ প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রথমত আমি ঢাকা লিগ খেলবো সেই কথা দেওয়া আছে। কিন্তু করোনার কারণে লিগ বন্ধ। যে কোনো সময় শুরু হতে পারে, আবার শুরু নাও হতে পারে। দ্বিতীয়ত, করোনা পরিস্থিতিতে সীমান্ত অতিক্রম করা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের দীর্ঘ পথ। করোনার সময় ওখানে যাওয়া এবং দেশে পরিবারের কারো কিছু হলে হুট করে ফিরে আসা কঠিন। এজন‌্য কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি নই।’

২০১৭ সালে সিপিএলে জ‌্যামাইকা তালাওয়াসের হয়ে পাঁচ ম‌্যাচ খেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এবার অংশগ্রহণের কারণ না জানিয়ে ডানহাতি স্পিন অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমরা প্রত‌্যেকেই জানি এখনকার পরিস্থিতি মোটেও নিয়ন্ত্রণে নেই। আমি আমার পরিবারকে সিপিএলের বিষয়টি জানানোর পর তারা আমাকে খেলতে অনুমতি দেয়নি। আমি খেলতে গিয়ে পরিবারকে উদ্বিগ্ন রাখা ঠিক হবে না। আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজে সফর করার অসুবিধাও আছে। একাধিক ট্রানজিট, একের পর এক নিয়মকানুন। সব মিলিয়ে কঠিন পরিস্থিতি। এজন্য এবার বিরতি নিচ্ছি।’

উল্লেখ্য, আগামী ১৮ আগস্ট টুর্নামেন্ট শুরু হবে। চলবে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ৩৩টি ম্যাচসহ দুটি সেমিফাইনাল ও একটি ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে। রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে হবে সবগুলো ম্যাচ। জীবাণুমুক্ত পরিবেশ ও দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ পরিচালনা করবে আয়োজকরা।

আরো সংবাদ