স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

পুলিশের সোর্সের সাথে কথা কাটাকাটির জেরে মা-বোনকে আটক, অপমানে কিশোরের আত্মহত্যা

চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদ বাদামতল মসজিদ এলাকায় পুলিশের সোর্সের সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে এক কিশোরকে না পেয়ে তার মা ও বোনকে থানায় নিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। আর এ অপমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মারুফুল আলম (১৭) নামের এক কিশোর।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই)  রাত ১০ দিকে আগ্রাবাদ বাদামতলী মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারুফ আগ্রাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে স্থানীয় দিদারুল আলমের পুত্র।

স্থানীয়রা জানান, মারুফের একটি সাইকেল কয়েকদিন আগে হারিয়ে যায়। এই নিয়ে এলাকায় অপরিচিত কাউকে দেখলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এলাকাবাসী। তেমনি ভাবেই পুলিশের এক সোর্স গলিতে এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করলে মারুফের সন্দেহ হয়। সে পুলিশের সোর্স পরিচয় না দিয়ে মারুফের সাথে কথা কাটাকাটি করে।

এ সময় পাশে থাকা সিভিল পুলিশের সদস্যরা মারুফের উপর চড়াও হলে সে পালিয়ে যায়। পরবর্তী পুলিশ সদস্যরা মারুফের বাসায় গিয়ে মারুফের মা রুবি আক্তার, বোন নেহা আক্তারকে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যায়। আর এই বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষোভ ও অপমানে বাসার একটি কক্ষের ভিতর গিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে মারুফ।

মারুফের আত্মহত্যার খবর শুনে পুলিশ তার মা ও বোনকে বাসায় নিয়ে আসলে এলাকাবাসী পুলিশের উপর চড়াও হয়ে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখে।

মারুফের সঙ্গে হাতাহাতিতে এসআই হেলাল খানের টি-শার্ট ছিঁড়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানান।

পুলিশের এসআই হেলাল খান বলেন, আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় এলাকায় আসামি মারুফকে ধরতে গিয়েছিলাম। সেখানে তার বোন অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে শুনি ওই ছেলে আত্মহত্যা করেছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশের নির্যাতনে মারুফের মৃত্যু হয়েছে।  বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ডবলমুরিং থানার এসআই হেলাল খানকে ক্লোজড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এএএম হুমায়ুন কবির।

আরো সংবাদ