স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের শঙ্কা, প্রস্তত ১৯ আশ্রয়কেন্দ্র

চট্টগ্রাম মহানগরীতে অব্যাহত ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাসরত লোকজনকে সরিয়ে নিতে ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

এছাড়া অব্যাহত ভারী বর্ষণে দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়সহ এশিয়ান উইমেন ইউনিভার্সিটি সংলগ্ন বায়েজিদ-ফৌজদারহাট সিডিএ লিংক রোড এলাকায় মাইকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার (২১ জুলাই) চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন জানান, চট্টগ্রাম মহানগরীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম নগরীতে মোট ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সিটি কর্পোরেশন এর সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর এবং জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সমন্বয় করে ত্রাণকার্য পরিচালনা করবেন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কথা বিবেচনায় যাতে আশ্রয়কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে এজন্য আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে এবার দ্বিগুণ করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের কর্মচারী এবং কাউন্সিলরদের স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে লোকজনকে অপসারণ করা হচ্ছে।

তবে করোনাভাইরাস এর সংক্রমণ পরিস্থিতিতে অধিকাংশ ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকজন সরে গিয়ে তাদের নিকটবর্তী আত্মীয়স্বজনের বাসায় নিরাপদ আশ্রয় নিচ্ছেন।

করোনাভাইরাস দুর্যোগের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে যাতে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে সরে নিরাপদে অবস্থান গ্রহণ করতে পারে এজন্য চান্দগাও, বাকলিয়া, আগ্রাবাদ এবং কাট্টলী সার্কেলাধীন এলাকায় মোট ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

চলমান ভারী বর্ষণে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীর ছয়টি সার্কেলের সহকারী কমিশনাররা (ভূমি) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর স্থানীয় কাউন্সিলরগণের সাথে সমন্বয় করে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছেন।

স্থানীয় মসজিদগুলো থেকেও মাইকিংয়ের মাধ্যমে লোকজনকে নিরাপদ অবস্থানে আশ্রয় নিতে আহ্বান জানানো হচ্ছে। প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে-পরে এবং বৃষ্টির তীব্রতা অনুযায়ী মসজিদের মুয়াজ্জিনদের মাধ্যমে জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকজনকে সরে যেতে আহ্বান করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম নগরীর মতিঝর্ণা, বাটালি হিল, একে খান পাহাড়, ট্যাংকির পাহাড়, আমিন জুট মিলস এলাকা, রউফাবাদ, খুলশী, পাহাড়তলি, ফয়েজ লেক আকবর শাহ এলাকার ঝিল-১,২,৩নং এলাকা, জিয়ানগর, মধ্যমনগর, মুজিব নগর, শান্তিনগর এলাকা, কৈবল্যধাম বিশ্বকলোনী এলাকা, ফিরোজ শাহ এলাকা, ফরেস্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট এলাকা, বায়েজিদ-ফৌজদারহাট সিডিএ লিংক রোড এলাকায় ভারী বর্ষণের মধ্যে মানুষের জানমালের সুরক্ষায় লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে আহ্বান জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

আরো সংবাদ