স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

সিনহা হত্যা: পলাতক দুই আসামি কক্সবাজার পুলিশেই নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ হত্যা মামলায় পলাতক থাকা দুই আসামি এসআই টুটুল ও কনস্টেবল মো. মোস্তফা নামে কক্সবাজার পুলিশে কেউ চাকরি করে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

শুক্রবার (৭ আগস্ট) ধানমণ্ডির বাসভবনে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘দুইজন সদস্য যাদের নাম আছে তারা কক্সবাজারে চাকরি করেন না। কনস্টেবল একজন ও এসআই একজন।’

এসময় দোষী কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন,  ‘কে আছে না না আছে এগুলো তদন্ত রিপোর্টে আসুক। যার নামই আসে দেখবো। আমাদের প্রধানমন্ত্রী তো কোন ব্যাপারেই না করছেন না। আমরা আশা করছি একটা সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট এই কমিটি আমাদের উপহার দিবেন। আমরা সে অনুযায়ী কাজ করবো। আমি পূর্বেই যা বলেছি এই সবকিছুর জট খুলে যাবে যখন তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যাবে। সিনহা ও তার সঙ্গের লোকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা মামলাটি চলবে কিনা তাও নির্ভর করবে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর।

এদিকে, সিনহা রাশেদ হত্যা মামলায় বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ সাত আসামির সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) কয়েক দফা শুনানি শেষে কক্সবাজারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নির্দেশ দেয়। আত্মসমর্পণের পর আসামিদের কারাগারের পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হলেও পরে র‌্যাব এর রিমান্ড আবেদনের পর মঞ্জুর করা হয় রিমান্ড। আদালতে হাজির না থাকা অন্য দুই আসামি এসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোস্তফার বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। প্রদীপ লিয়াকত ছাড়া ৭ দিন র‌্যাবের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হবেন এসআই নন্দ নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং এএসআই লিটন মিয়া।

এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের চট্টগ্রাম পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে মামলার অন্যতম আসামি টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ সাহা।পুলিশ প্রহরায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজারে। আগেই আত্মসমর্পণের জন্য আদালতে ছিলেন প্রধান আসামি লিয়াকতসহ অন্য ছয় আসামি।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (৩১ আগস্ট) কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ। একে সরাসরি হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন সিনহার স্বজনরা। সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেয়ার পর বিশ্ব ভ্রমণের পরিকল্পনা করছিলেন মেজর সিনহা রাশেদ। ভ্রমণ বিষয়ক একটি ইউটিউব চ্যানেল বানানোর কাজও চলছিলো তার। এরই অংশ হিসেবে সিনহা কক্সবাজারে ভিডিও তৈরির কাজে গিয়েছিলেন বলে জানায় তার পরিবার। পরে পুলিশ দাবি করে, আত্মরক্ষার্থেই গুলি করা হয় রাশেদকে। এরপর বুধবার (৫ জুলাই) টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ ও বাহারছড়া চেকপোস্টের আইসি লিয়াকতসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন নিহতের বোন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় র‌্যাবকে।

আরো সংবাদ