স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

৮ দিনের মধ্যে এয়ারপোর্ট সড়ক যান চলাচল উপযোগী করার নির্দেশ

আটদিনের মধ্যে চট্টগ্রামের এয়ারপোর্ট সড়ক কার্পেটিংসহ যান চলাচল উপযোগী করার নির্দেশ দিয়েছেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

বুধবার অপরাহ্নে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কর্তৃক বাস্তবায়িত উড়াল সেতু ও এয়ারপোর্ট সড়কের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করতে গিয়ে এসব কথা বলেন। পরিদর্শনকালে চসিক প্রশাসক প্রত্যক্ষ করেন, ওয়াসার পাইপ লাইনের কারণে ড্রেইনের পানি নিস্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। একইভাবে সড়কে বিভিন্ন খানা-খন্দকের কারনে গাড়ী চলাচল ও জনগণের দূর্ভোগ চরম পর্যায়ে।

তাই আগামী ২০ তারিখের মধ্যে পানি চলাচলে বাঁধা সৃষ্টিকারী ওয়াসার পাইপ সমূহ ওয়াসাকে সরিয়ে নিতে এবং রাস্তায় যত গর্ত ও খানা-খন্দক আছে তাও ২০ তারিখের মধ্যে প্যাচওয়ার্কের মাধ্যমে সংস্কার করে রাস্তা কার্পেটিং এর সিদ্ধান্ত দেন চসিক প্রশাসক। এসময় উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা তা পালনের প্রতিশ্রুতি দেন চসিক প্রশাসককে। এয়ারপোর্ট সড়কের এই চলমান উন্নয়নকাজে সমন্বয়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। তাই প্রশাসক চসিকের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের এই বিষয়ে নজরদারী বাড়িয়ে ও কাজের গুনগতমান অক্ষুন্ন রাখতে নির্দেশনা দেন।

এই সময় খোরশেদ আলম বলেন, চট্টগ্রাম আমাদের সকলের। চট্টগ্রামের উন্নয়নে আমরা যারা কাজ করছি তাদের মধ্যে সমন্বয় না হলে উন্নয়ন কার্যক্রমে সফলতা আসবে না। জনদূর্ভোগ লাঘবে নগরীতে রাস্তা-ঘাট তৈরী হয়। কিন্তু এ কাজ করতে যেন জনদূর্ভোগ না বাড়ে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এয়ারপোর্ট সড়ক হচ্ছে নগরের প্রবেশদ্বার। এখান থেকেই দেশী ও বিদেশী অতিথিরা চট্টগ্রাম সম্পর্কে ধারনা নিবে। তাই শুধুমাত্র সমন্বয়হীনতার অভাবে এই সড়কে জনদূর্ভোগ মেনে নেয়া যায় না।

পরিদর্শনকালে চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোছাইন, নির্বাহী প্রকৌশলী অসীম বড়ুয়া, সহকারী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) অলক দাশ, সিডিএ ফ্লাইওভার প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজ, ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রউফ, সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন, হাজী মো. হোসেন, মোরশেদ আলম, মো. শাহজাহান, সমীর মহাজন লিটন, জাইদুল ইসলাম দুর্লভ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে পোর্ট কানেকটিং রোডে ২০ টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছে চসিকের ভ্রর্মামান আদালত। গতকাল সকালে চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন উক্ত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে এসব অবৈধ দখলদারদেরকে ২৪ ঘন্টার সময় বেঁধে দেন।

তার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা ফেরদৌস এর নেতৃত্বে ওই এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। অভিযানকালে সাগরিকা মোড়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠা প্রায় ২০টি কাঁচা-পাকা দোকান ভেঙ্গে দেয়া হয়।

এরমধ্যে হোটেল, সিমেন্টর দোকান, বাস কাউন্টার, গাড়ীর গ্যারেজসহ অন্যান্য দোকানপাট রয়েছে। এতে প্রায় ১৫ গন্ডা জায়গা উদ্ধার করা হয়। একই অভিযানে সাগারিকা মোড় হতে নয়া বাজার এলাকা পর্যন্ত রাস্তার উভয়পার্শ্বের ড্রেইনের উপর স্তুপ করে রক্ষিত মালামাল সরিয়ে ডেইন দখলমুক্ত করে সাধারণ মানুষের জন্য উম্মুক্ত করা হয়। এসময় চসিক ম্যাজিস্ট্রেট অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে এরকম অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।

আরো সংবাদ