স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

প্রবাসীদের টিকিটে ‘রিপ্লেসমেন্ট’ সুবিধা দেবে বাংলাদেশ বিমান

টিকিট কেটে যেসব প্রবাসী শ্রমিক কর্মস্থলে যেতে পারেনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তাদের রিপ্লেসমেন্ট দেবে এবং এর জন্য কোনো টাকা নেবে না। মঙ্গলবার বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক আবুধাবি ফেরত শ্রমিকদের পুনরায় দেশটিতে পাঠানো সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

এর আগে গত মাসে ফেরত আসা শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে তিন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি আবুধাবি থেকে কর্মী ফেরত আসার ‘প্রকৃত’ কারণ উল্লেখ করে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে গত সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।

প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও এয়ার অ্যারাবিয়ার ফ্লাইটে দেশে ফেরত আসা ১১২ প্রবাসী শ্রমিককে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আবারো আবুধাবিতে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, বিমান তো একটি ক্যারিয়ার। বিমানের যে টিকিট কাটবে সেই বিমানে যাবে। বিমানের কি আর কোনো রেসপনসিবিলিটি আছে? বিমানের আর কোনো রেসপনসিবিলিটি থাকার কথা নয়? এখন আবুধাবি কর্তৃপক্ষ অফিসিয়ালি বলছে, যাদের এমপ্লয়মেন্ট ভিসা আছে তারা সবাই আবুধাবিতে আসতে পারবে। কিন্তু আবুধাবিতে যখন যাচ্ছে তখন তারা তাদেরকে ইমিগ্রেশন ক্রস করতে দিচ্ছে না। এটা নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আমরা এগুলো বন্ধ রেখেছি।

তিনি বলেন, হয়তো একটা কোম্পানিতে ৩০০ লোক থাকত। তারা ২০০ কর্মী ছাঁটাই করে দিয়েছে। এর ভেতরে হয়তো বাংলাদেশী ৫০ জন পড়ে গেছে। কিন্তু সেই বাংলাদেশীকে তারা জানায়নি সে তার এমপ্লয়ি নয়। সে যখন আবুধাবিতে ঢুকে যাচ্ছে তখন দেখে যে, সে তার এমপ্লয়ি নয়।

তিনি আরও বলেন, যেসব প্রবাসী শ্রমিকের টিকিট কাটা আছে, অথচ যেতে পারেনি বিমান তাদেরকে রিপ্লেসমেন্ট দেবে এবং এর জন্য কোনো পয়সা নেবে না।

উল্লেখ্য ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং এয়ার অ্যারাবিয়ার ফ্লাইটে মোট ৩৩৪ জন যাত্রী গন্তব্য রওনা হয়েছিলেন গত মাসের ১৭ আগস্ট। এর মধ্যে আবুধাবি ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ১১২ জনকে ঢোকার অনুমতি না দিয়ে ফেরত পাঠান। পরে ফেরত আসা যাত্রীরা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেই পুনরায় তাদেরকে আবুধাবি পাঠানোর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন।

পরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের বুঝিয়ে পরবর্তী ফ্লাইটে পাঠানো হবে এমন আশ্বাস দিয়ে যার যার বাসায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ওই দিন রাতেই প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। এরপর গত সপ্তাহে (বুধবার) তদন্ত কমিটির উপস্থিতিতে প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপ তুলে ধরেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান।

আরো সংবাদ