স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

দুবাইয়ে মিলেনিয়ামের আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপারেশন চালু

দুবাইয়ে মিলেনিয়াম ইনফরমেশন সল্যুশন লিমিটেড (এম, আই, এস, এল)-এর আন্তর্জাতিক কার্যক্রম শুরু.

বিশ্বব্যাপী দ্রুত বর্ধনশীল ইসলামিক অর্থনীতির ২.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজার খাত কে ত্বরান্বিত এবং বৈশ্বিক ইসলামিক ব্যাংকিং অপারেশনে কার্যকরি ভুমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়ে দুবাই ইন্টারনেট সিটিতে সম্প্রতি কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ ভিত্তিক কোর ইসলামিক ব্যাংকিং সফটওয়ার নির্মাণ ও সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান, মিলেনিয়াম ইনফরমেশন সল্যুশন লিমিটেড (এম, আই, এস, এল)। ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী ইসলামিক আর্থিক সম্পদের পরিমান ছিল ২.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার আর ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকিং খাতে এই সম্পদের পরিমান ছিল ১.৭২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার যা মোট সম্পদের শতকরা ৭০ ভাগ।

আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি “স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুয়ার’স” এর তথ্যমতে, বৈশ্বিক অর্থনীতির বর্তমান সঙ্কট থাকা স্বত্বেও “সুকুক” ভিত্তিক ইসলামিক বিনিয়োগ ২০২০ সালে ১১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, “থমসন রেউটার্স” এর মতে কোভিড-১৯ মহামারী সত্বেও ২০২৩ সাল নাগাদ ইসলামিক অর্থনীতির এই সম্পদের পরিমান গিয়ে দারাবে ৩.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে যা ২০১৬ সালে ছিল ২.২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। কাজেই সারা বিশ্বব্যাপী শুধুমাত্র ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রমের প্রসারই বর্তমান অর্থনীতির চলমান নিম্নমুখী প্রবনতা ঠেকানোর এবং এর থেকে উত্তরনের একমাত্র কার্যকরি পন্থা হিসেবে মত দিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতি বোদ্ধারা।

প্রচলিত ব্যাংকিং প্রথা যেখানে পুরোপুরি ব্যর্থ সেখানে প্রকৃত শরীয়াহ এবং সম্পদ নির্ভর বিনিয়োগের নীতি অনুসরণকারি ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থাই পারে কার্যকরিভাবে আর্থিক সঙ্কটকে সঠিকভাবে মোকাবেলা করতে। একারনেই বিগত কয়েক বছর ধরে সারা দুনিয়াব্যাপি ইসলামিক ব্যাংকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। একটি পরিপুর্ণ কোর ইসলামিক শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকিং সফটওয়ারই পারে ইসলামিক ব্যাংকগুলোকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষেত্রে কার্যকরিভাবে সহায়তা করতে। আর ইসলামিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমুহকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য আরও উন্নত ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা চালিত কোর ব্যাংকিং সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে অতি দ্রুত বর্তমান আধুনিক ব্যাংকিং ব্যাবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে।

“যেহেতু আর্থিক খাতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারাকে সমুন্নত রাখতে ব্যাংকগুলোকে চলমান ব্যাংকিং কার্যক্রম কে কোনভাবেই ব্যাহত না করে এবং ফিনটেক সমাধানের সাথে সমন্বয় করে অধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন নতুন প্রজন্মের ব্যাংকিং সিষ্টেমে মাইগ্রেট করতে হবে, একারনেই আমাদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ও পুরোপুরি ইসলামিক শরিয়াহ ভিত্তিক কোর ব্যাংকিং সফটওয়ার, আবাবিল, এর মাধ্যমে ইসলামিক ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে দুবাই ইন্টারনেট সিটিতে সম্প্রতি মিলেনিয়াম ইনফরমেশন সল্যুশন এফ জেড, এল, এল সি (এম, আই, এস, এল) তাদের আন্তর্জাতিক কার্যক্রম শুরু করেছে”। প্রতিষ্ঠানটির সি, ই, ও, মাহমুদ হোসেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, বর্ধমান ফিনটেক ব্যবস্থার সাথে সমন্বয় করতে গিয়ে বিদ্যমান বেশিরভাগ মূল ব্যাংকিং সিস্টেম অচল হয়ে যাবে এবং ব্যাংকগুলিকে আগামী ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে পরবর্তী প্রজন্মের কোর ব্যাংকিং সিস্টেমে মাইগ্রেট করতে হবে। আর যারা এটি করতে ব্যর্থ হবেন, তারা এই দৌড়ে যেমন পিছিয়ে পড়বেন সাথে সাথে প্রতিযোগীতামূলক আর্থিক বিশ্বে ব্যবসাও হারাবেন”।

আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ও পুরোপুরি ইসলামিক শরিয়াহ ভিত্তিক কোর ব্যাংকিং সফটওয়ার, “আবাবিল”, বর্তমানে ১৪ টি ব্যাংক এবং নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এন বি এফ আই) সর্বোমোট ৭০০ টিরও অধিক শাখায় ব্যবহৃত হচ্ছে। “আবাবিল” সফটওয়ারটি কোন প্রচলিত ব্যাংকিং এপ্লিকেশনের উপ-পণ্য নয়, বরঞ্চ এটি একটি পুর্ণাংগ ইসলামী শরীয়াহ অনুগত এবং এর উপর নকশাকৃত ব্যাংকিং এপ্লিকেশন যার ট্রাঞ্জেকশনাল ক্যাপাসিটি আইবিএম এর বেঙ্গালুরু ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত।

আরো সংবাদ