কঙ্গোর পূর্বে একটি সোনার খনি ধসে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যুর হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির দক্ষিণ কিভু প্রদেশের কামিটুগা শহরে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ৩টার দিকে অস্থায়ী এই খনিতে দুর্ঘটনা ঘটে।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতের পর শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টার দিকে ‘ডেট্রয়েট’ খনি এলাকায় এ ধসের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রাদেশিক গভর্নর থিও এনগাওয়াবিজ কাসির বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, স্বর্ণ খনিতে চাপা পড়ে ৫০ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। কামিটুগার মেয়র আলেকজান্দ্রে বুন্দিয়া এই দুর্ঘটনার জন্য বৃষ্টিপাতে মাটির স্তর পাতলা হয়ে যাওয়াকে দায়ী করেছেন।
তিনি বলেছেন “সঠিক করে নিহতদের সংখ্যা এখনো জানা যায়নি, তবে শুনেছি এখন পর্যন্ত এ সংখ্যা অর্ধশত।” তিনি এ ঘটনায় দুই দিনের শোক দিবস ঘোষণা করেছেন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মাটি থেকে মৃতদেহ বের করতে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন।
স্থানীয় খনি এনজিওর এক কর্মকর্তা এমিলিয়ান ইতোংওয়া আল জাজিরাকে বলেন, “বেশ কয়েকজন খনি শ্রমিক শ্যাফটে ছিল এবং তাদের কেউ বের হতে পারেনি। ”
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবি এবং ভিডিওতে দেখা গেছে শত শত লোক এই সাইটের আশপাশে ভীড় করেছে। তারা আটকে পড়াদের পরিবারের সদস্য এবং স্বজন। সেখানে তাদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে আশপাশ।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দা জঁ নোন্ডো বলেন, “প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ৫০ জনেরও বেশী লোক মারা গেছে। কেবল একজনই সেখান থেকে বেঁচে ফিরেছে।”
তিনি বলেন, প্রবল বৃষ্টির পর খনির কাছাকাছি একটি নদী প্লাবিত হয়েছে। সেটির পানি তিনটি সুড়ঙ্গে ঢুকে গেছে। যখন মানুষ বের হওয়ার চেষ্টা করছিল, তখন পানি প্রচণ্ড চাপের সাথে প্রবাহিত হচ্ছিল।
আল জাজিরা জানায়, কঙ্গোতে বহু অননুমোদিত সোনার খনি রয়েছে যেগুলোতে প্রায় দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে।