স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

সোমবার প্রধানমন্ত্রী তুরস্কের বাংলাদেশ চ্যান্সারি উদ্বোধন করবেন

তুরস্কের আঙ্কারাতে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব জমিতে ভবন নির্মাণ শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে অনলাইনে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) আঙ্কারার বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আঙ্কারায় দূতাবাস ভবনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাবুসুলু উপস্থিত থাকবেন।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, তুরস্কে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এবং দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা ছেড়েছেন। এই সফরে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাবুসুলুসহ দেশটির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ প্রাধান্য পাবে। এছাড়া রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে তুরস্কের সঙ্গে বৈঠকে গুরুত্ব পাবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর তুরস্কের আঙ্কারাতে বাংলাদেশ দূতাবাস কমপ্লেক্সের নির্মাণ প্রকল্প শেষ হয়েছে। প্রকল্পটির নির্মাণ কাজের জন্য মোট বরাদ্দ ছিল ৪৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। প্রকল্প শেষে দুতাবাস ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা সরকারি তহবিলে ফেরত দিয়েছে।

জানা গেছে, ৪ হাজার ২৮৩ বর্গমিটার ক্ষেত্রফল আয়তনবিশিষ্ট দূতাবাস কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে অফিস ভবন, রাষ্ট্রদূতের বাসভবন, ‘বিজয় একাত্তর’ নামের ২২৯ আসন সংখ্যার উচ্চ-প্রযুক্তিসম্পন্ন মিলনায়তন, স্বয়ংক্রিয় মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেম, মসজিদ, ব্যায়ামাগার, বাংলাদেশি সামগ্রীর প্রদশর্নী কেন্দ্র, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং আর্থ-সামাজিক বিষয়ে একটি পাঠাগার।

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাসের প্রতিফলক হিসেবে এই কমপ্লেক্সে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আবক্ষ এবং ভাষা শহীদদের স্বরণে শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়েছে। অজেয় বাংলাদেশ শিরোনামে একটি দৃষ্টিনন্দন মুরাল ও বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের উপরে টেরাকোটা স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশি স্থাপত্য রীতির আমেজ নিশ্চিত করতে ভবনটির বাইরে লাল ইটের এবং সমতল ছাদের ব্যবহার করা হয়েছে।

২০১০ সালের ১৪ নভেম্বর ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে কুটনৈতিক মিশন নির্মাণের জন্য পুট বিনিময়ের বিষয়ে একটি প্রটোকল সই হয়। পরবর্তীতে গত ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুরস্ক সফরকালে চ্যান্সারি ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

আরো সংবাদ