স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

৯৯৯ এ ফোন পেয়ে দুই তরুণীকে উদ্ধার করল পুলিশ

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস মহামারীতে চাকরি হারানো দুই তরুণীকে চাকরি দেওয়ার নামে বাসায় এনে আটকে রেখে দেহব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে বাকলিয়া থানা পুলিশ।

এরা হলেন শাহীন আক্তার (২৪) ও দেলোয়ার হোসেন (২৫)।

জাতীয় জরুরি সেবার ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন পেয়ে নগরীর বাকলিয়া থানার কল্পলোক আবাসিকে একটি বাসা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আটকে থাকা দুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দীন জানান, ৯৯৯-এ কল করে ওই তরুণীর সাহায্যের কথা জানান। তারপর আমি তাদের মোবাইলে কল করে জানতে চাই তাদের কোথায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। তারা কোন ঠিকানা বলতে পারছেন না। শুধু কল্পলোক আবাসিকের কথা বলল। তারপর তাদের বাইরের দৃশ্যের বর্ণনা দিতে বললাম। সেই সূত্র ধরে তাদের উদ্ধার করি। এ সময় ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি জানান, ওই দুই তরুণী পতেঙ্গা থানার ইপিজেড কেনপার্ক বাংলাদেশ এ্যাপারেল নামে একটি কারখানায় চাকরি করত। করোনার কারণে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে ওই প্রতিষ্ঠানের রেখা নামের একজন সহকর্মী অন্য গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার নাম করে আসামি মো. রাকিবের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয়।

‘গত ৩ অক্টোবর রাত পৌন ১২টায় রাকিব ও তার বন্ধু শওকত আলী খাঁন ও শাহিনা আক্তার তাদের এই বাসায় নিয়ে আসে। তারা বাসায় এসে দেলোয়ার ও শাহীন আক্তারকে দেখতে পায়। পরে তারা ওই দুই তরুণীকে জোরপূর্বকে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করে। শওকত এবং রাকিব সাম্প্রতিককালে বাসাটি ভাড়া নিয়ে অসহায় তরুনীদের টার্গেট করে কৌশলে নিয়ে এসে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসার কাজে লিপ্ত ছিল ‘

ওসি নেজাম বলেন, এ ঘটনায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে চারজনকে আসামি করে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। পলাতক দুই আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরো সংবাদ