স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

ব্রা না পরাই ভালো: গবেষণা

স্তন ক্যানসার সচেতনতার মাস অক্টোবর। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ১৩ অক্টোবর ‘নো ব্রা ডে’ হিসেবে পালিত হয়েছে। দিবসটির শুরু কানাডার প্লাস্টিক সার্জন ডা. মিশেল ব্রাউনের মাধ্যমে।

সচেতনতামূলক এই উদ্যোগ শুরু হয় ২০১১ সালে। প্রথম দিকে ৯ জুলাই পালন হতো। পরবর্তী সময়ে দিনটি পরিবর্তন করা হয়।

কিছু গবেষণায় বক্ষবন্ধনীর নেতিবাচক দিক ধরা পড়ায় সচেতনতা সৃষ্টিতে পালন করা হয় ‘নো ব্রা ডে’। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, অতিরিক্ত বক্ষবন্ধনীর ব্যবহার ডেকে আনে স্তন ক্যানসার। তাই নারীদের বক্ষবন্ধনী পরতে অনুৎসাহিত করা হয় এই দিবসে।

বিশেষজ্ঞদের মতে- বেশিরভাগ নারীর ক্ষেত্রে, দীর্ঘ দিন শেষে বাসায় ফিরে বক্ষবন্ধনী খুলে রাখার চেয়ে ভালো অনুভূতি আর নেই। তবে এখনো বেশিরভাগ নারী এই অন্তর্বাস পরেন এবং মনে করে যে, এটি স্তনকে বলিষ্ঠ এবং সুস্থ রাখতে পারে।

বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি প্রমাণ করেছেন যে, ব্রা পরার দৃঢ় কোনো কারণ নেই। এছাড়া একটি বাস্তবিক গবেষণা রয়েছে যেখানে দেখা গেছে, ব্রা না পরা নারীদের জন্য ভালো।

অল্প বয়স থেকেই ব্রা পরাটা বুকের জন্য সহায়ক নয় এবং ব্যাক পেইন বা স্তন নড়াচড়া প্রতিরোধ করে না। ফ্রান্সের সেন্টার হসপিটাল ইউনিভার্সিটিয়ার দে বেসানকোন-এর অধ্যাপক জা-ডেনিস রৌলানের মতে, নাদের স্তন স্বাস্থ্যের জন্য ব্রা প্রয়োজনীয় নয়।

রৌলানের গবেষণার তথ্যানুসারে- ব্রা শারীরবৃত্তীয়, চিকিৎসা বা মানসিকভাবে প্রয়োজনীয় নয়। বরঞ্চ স্তনের প্রাকৃতিক বেড়ে ওঠায় বাধার সৃষ্টি করে ব্রা।

গবেষণায় ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৩৩০ জন অংশগ্রহণকারীর স্তনের মাপ সংগ্রহ করা হয় ১৫ বছর ধরে। ফলাফলে দেখা যায়, ব্রা না পরা নারীদের স্তনবৃন্ত প্রতি বছর ৭ মিলিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ ছাড়া ব্রা না পরা নারীদের স্তনে স্ট্রেচ মার্ক কম পড়ে। এমনকি নিয়মিত ব্রা পরতেন এমন নারীদের তুলনায় তাদের স্তন আরও বলিষ্ঠ ছিল।

এই অন্তর্বাস সাংস্কৃতিক রীতি এবং স্থানীয় সৌন্দর্যের মান প্রকাশ করে। ব্রা পরা নিয়ে নারীদের মধ্যে মনোভাবও ভিন্ন। কারো কাছে এটি প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় একটি আইটেম, আবার কারো কাছে এটি ঝামেলা ছাড়া কিছুই নয়।

বিজ্ঞান বলছে, অল্প বয়সী নারীদের ব্রা পরার প্রয়োজন নেই। ব্রা না পরাই অল্প বয়সী নারীদের জন্য বেশি ভালো, কারণ এর ফলে স্তনের টিস্যু ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে, রৌলানের গবেষণা অনুসারে।

গবেষণার সীমাবদ্ধতা:

নারীদেরকে ব্রা পরা বন্ধ করতে বলার জন্য এ গবেষণাপত্রটি ব্যবহার করছেন না গবেষকরা। কারণ এ গবেষণার নমুনা আকার নারীদের পুরোপুরি প্রতিনিধিত্ব করে না। এ ছাড়া শারীরিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে স্তনের নড়াচড়া বিষয়ক তথ্যের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে।

আরো সংবাদ