মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তুর্কি সীমান্তবর্তী এলাকায় মার্কিন সেনাবাহিনী শক্তিশালী ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ভয়ঙ্কর সেই আক্রমণে অন্তত ১৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও কিছু লোক।
উগ্র সশস্ত্র সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত স্থানীয় একটি সংগঠনের কয়েকজন নেতাকে হত্যার জন্যই ড্রোন হামলাটি চালানো হয় বলে দাবি আমেরিকার।
মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত মার্কিন বাহিনীর সেন্টকমের মুখপাত্র মেজর বেত রিঅর্ডান বিবৃতির মাধ্যমে ড্রোন হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার দাবি, উগ্রবাদী গোষ্ঠী নেতারা ইদলিভ শহরের কাছে একটি জায়গায় গোপন বৈঠক করছিল। মূলত সেই খবরটি পেয়ে মার্কিন বাহিনী সেখানে হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট সব নেতাকে হত্যার কারণে উগ্রবাদী সংগঠন বিশ্বব্যাপী মার্কিন স্বার্থ, মার্কিন জনগণ এবং মার্কিন মিত্রদের ওপর হামলা চালানোর জন্য শক্তি অর্জন করতে পারবে না।
যদিও মেজর রিঅর্ডান এ কথা পরিষ্কার করেননি যে, ওই ড্রোন হামলায় আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট কয়জন উগ্রবাদী নেতা নিহত হয়েছে।
ব্রিটেনভিত্তিক কথিত মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন। সংস্থাটি বলছে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট উগ্রবাদী নেতারা রাতের খাবার খাওয়ার সময় সেখানে আমেরিকা হামলা চালায় এবং নিহত ১৭ জনের মধ্যে ১১ জন উগ্রবাদী নেতা রয়েছেন।
সূত্র : পার্সটুডে