স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

মার্কিন নির্বাচনি ব্যালটে বাংলাভাষা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫৯তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলায় মুদ্রিত ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাভাষাভাষী অধ্যুষিত এলাকার ভোটাররা। ইতোমধ্যেই মেইল ইন ব্যালট বা ডাকযোগে ভোট দিতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি ভোটাররা বাংলায় মুদ্রিত তাদের অফিসিয়াল ব্যালটে ভোট দিয়েছেন। পাঁচ পৃষ্ঠার এই ব্যালট পেপারে প্রত্যেক ভোটারকে সর্বমোট ২৫টি ভোট দিতে হবে।

এবারের নির্বাচনে ব্যালট পেপারে বিভিন্ন ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষাকে দেখতে পেয়ে আনন্দিত বাঙালিরা। এর মধ্য দিয়ে ইংরেজি ও অন্য কয়েকটি ভাষার পাশাপাশি দেশটিতে বাংলা ভাষাও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করল।

ভোটারদের হাতে যে ব্যালট পেপার দেওয়া হয়েছে তাতে প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্টসহ প্রার্থীদের নাম বাংলা ভাষায় লেখা রয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়ায় এবারের ব্যালট অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, ডিস্ট্রিক এটর্নি, রাজ্য ও বিভিন্ন সরকারি দফতরের প্রধান নিয়োগ ও অর্থ বরাদ্দসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে ভোট দিতে হবে।

ঠিক এবারই প্রথম নয়, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেও গণমাধ্যমের সংবাদ শিরোনাম ছিল, নিউ ইয়র্ক শহরের বাংলাভাষীরা শেষ পর্যন্ত তাদের নিজেদের ভাষায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ১৯৬৫ সালের ‘ভোটাধিকার আইন’-এর আওতায় একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক জনসংখ্যার কোটা পূরণ হলে সেই সব সংখ্যালঘুদের ভাষা ব্যালটে যুক্ত করার বিধান রয়েছে।

তাই নিজেদের অধিকার আদায়ে ২০১৩ সালে ‘বোর্ড অফ ইলেকশন’-এর বিরুদ্ধে ‘ছায়া কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন’ নামের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ব্রুকলিনের ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলা করে বসে। অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলায় ব্যালট সরবরাহের নিশ্চয়তা দিয়েও বোর্ড তা রক্ষা করেনি।

ছায়ার নির্বাহী পরিচালক সীমা আগনানি তখন নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছিলেন, বোর্ডের আমলাতান্ত্রিক পা-টেনে ধরা স্বভাবের কারণে অল্প ইংরেজি জানা বহু বাংলাভাষী আমেরিকান তাদের ভোটাধিকার পুরোপুরি প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

এর ফলে আদালত নিউ ইয়র্ক সিটির কুইন্সের সব ব্যালটে বাংলা সংযোজনের নির্দেশ দেয়। আর এভাবেই নিউ ইয়র্ক সিটির কুইন্সের ব্যালটে বাংলা ভাষাও চলে আসে।

মাতৃভাষায় লেখা ব্যালট পেপারে ভোট দিতে পেরে খুশি সে দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা।

আরো সংবাদ