স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

জো বাইডেন আমেরিকার ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট

আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন। পেনসিলভানিয়াতে জয় নিশ্চিতের মধ্য দিয়ে তিনি ম্যাজিক ফিগার ২৭০ ছাড়িয়ে গেলেন। এখন তাঁর মোট ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২৭৩।

মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনে এমনটিই দাবি করা হয়েছে। নিজের জন্মস্থান পেনসিলভানিয়াতে তাঁর বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁর মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখন আর কোন দ্বিধা থাকলো না।

সিএনএন জানায়, পেনসিলভানিয়াতে জয়লাভের মধ্য দিয়ে তিনি এখন ২৭৩টি ইলেক্টোরাল ভোট নিশ্চিত করেছেন। অর্থাৎ প্রয়োজনের চেয়েও তিনটি ভোট বেশি পেয়ে তিনি রিপাবলিকানদের নির্বাচন জয়েরর সব স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিলেন।

ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট মনোনীত হওয়ার আগে, বাইডেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অধীনে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ডেলাওয়্যারের দীর্ঘতম সিনেটর।

তার প্রচারাভিযান জুড়ে সবসময় যেই স্লোগানটি আলোচিত হয়েছে তা হল “জাতির আত্মা” বিপন্ন” তাই ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার মধ্য দিয়ে ভঙ্গুর দেশটিকে তিনি সুস্থ করার চেষ্টা করবেন।

১৯৭০ সালে ডেলাওয়ারের নিউ ক্যাসল কাউন্টির কাউন্সিলম্যান নির্বাচিত হন জো বাইডেন। এরপর তাঁকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ৩০ বছর বয়সের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয় তাঁর।

১৯৭২ সালের নভেম্বরে তৎকালীন জনপ্রিয় রিপাবলিকান সিনেটর স্যালেব বগসের বিপক্ষে ডেমোক্রেটিক দল থেকে প্রার্থী হন তিনি। তারপর নাম লেখান ইতিহাসে। মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী পঞ্চম সিনেটর নির্বাচিত হন।’ ৭৩ থেকে টানা ২০০৯ সাল পর্যন্ত সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

১৯৮৭ সালে একবার ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেনশিয়াল প্রাইমারিতে লড়ার ঘোষণা দেন বাইডেন। তবে অসুস্থতার কারণে ১৯৮৮ সালে প্রাইমারির শুরুতে ক্ষান্ত দেন তিনি। ২০০৭ সালে আবার প্রেসিডেন্ট পদে দলীয় প্রাইমারিতে নামেন। সেই যাত্রায় তিনি বারাক ওবামা আর হিলারি ক্লিনটনের বিপক্ষে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। পরে ২০০৮ সালে ওবামা তাঁকে রানিংমেট হিসেবে বেছে নেন। ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল এক ভিডিওবার্তায় বাইডেন ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় প্রাইমারিতে লড়াইয়ের আভাস দেন। দলীয় প্রাইমারিতে ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর কমলা হ্যারিস (যিনি তাঁর বর্তমান রানিংমেট), ভারমন্টের সিনেটর উদারপন্থী বার্নি স্যান্ডার্স, ম্যাসাচুসেটসের এলিজাবেথ ওয়ারেন, পেটি বুটেগিগ, অ্যামি ক্লুবেচারকে পেছনে ফেলে তিনি ডেমোক্রেটিক দলের মনোনয়ন নিশ্চিত করেন। জাতীয় পর্যায়ে বেশির ভাগ জনমত জরিপে তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন।

আরো সংবাদ