স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৫ কোটি ৩০ লাখ মানুষ

বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টার দিকে আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডো মিটারস এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে বলা হয়, করোনা ভাইরাস বৈশ্বিক মহামারিতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ কোটি ৩০ লাখ ৯১ হাজার ৯৮১। এর মধ্যে ১২ লাখ ৯৯ হাজার ৪০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে তিন কোটি ৭২ লাখ ১২ হাজার ৮৫৬ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৬ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে করোনার প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসটির প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

আমেরিকার দুই মহাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় সংক্রমণ এখনো দ্রুত বাড়ছে। অন্যদিকে ইউরোপকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে করোনা কিছুটা স্তিমিত হলেও সেখানে আবারও নতুন করে রোগটির প্রাদুর্ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, এখন আক্রান্তের পর সুস্থ হওয়ার হার দ্রুত বাড়ছে।

ওয়ার্ল্ডো মিটারসের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৬। মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৪৮ হাজার ৫৮৫ জনের।

আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭ লাখ ২৮ হাজার ৭৯৫। এর মধ্যে এক লাখ ২৮ হাজার ৬৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ লাখ ৮৩ হাজার ৬৪৭। এর মধ্যে এক লাখ ৬৪ হাজার ৩৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬ হাজার ৩০৭। এরমধ্যে চার হাজার ৬৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করার অভিযোগ রয়েছে। উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, বুদ্ধি-বিবেচনা সম্পন্ন যে কোনো মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবেন।

মহামারির শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছিল, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পেছনে চীনের ভূমিকা রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সেই দাবিকে আরও জোরালো করে চীনের উহানের ল্যাবের এক ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ানের বক্তব্য।

লি মেং ইয়ান বলেন, চীনের ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছে করোনা ভাইরাস। এটি মানুষের তৈরি বলে তার কাছে শতভাগ প্রমাণ রয়েছে।

হংকংয়ে জন্ম নেওয়া ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ান পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। বছরের শুরুতে তাকে চীন হত্যা করতে চেয়েছিল বলে ভয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান তিনি।

তিনি জানান, চীনের পূর্বাঞ্চলে গত বছরের শেষ দিকে নিউমোনিয়ার মতো এই রোগ নিয়ে প্রথম দিকে গবেষণাকারীদের একজন ছিলেন তিনি। কিন্তু যখন রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে তখন তাকে নীরব ও সতর্ক থাকতে বলা হয়। তার সুপারভাইজার তাকে বলেন, আমরা সমস্যায় পড়ব এবং গুম হয়ে যাব।

আরো সংবাদ