স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

দেশের সব ভাস্কর্য রক্ষায় হাইকোর্টে রিট

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যসহ দেশের সব ভাস্কর্য রক্ষায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন আইনজীবী উত্তম লাহেরি। রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিনি এ রিট আবেদন করেন।

শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে রাতের আঁধারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়েছে।

এই কাজে দুইজন অংশ নেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রাত ২টা ১৬ মিনিট। দু’জনই দাড়িওয়ালা। টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবি পরিহিত দুজনের মধ্যে একজনের পিঠে ব্যাগ ঝোলানো রয়েছে। শহরের যে সড়কটি মজমপুর গেট হয়ে পাঁচ রাস্তার মোড়ে এসে মিশেছে পায়ে হেঁটে এসে টুপি, দাঁড়িওয়ালা, পাজামা-পাঞ্জাবি পরিহিত যুবক বয়সী ওই দুজন বাঁশ বেয়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে উঠে এলোপাথাড়ি হাতে থাকা লাঠি অথবা লোহার রড দিয়ে ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করে। মাত্র এক মিনিটের মধ্যে ভাস্কর্যটি ভেঙে তারা নির্বিঘ্নে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এই ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন। সারা দেশে প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছেন তারা।

এর আগে গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার গেন্ডারিয়ার ধূপখোলার মাঠে ‘তৌহিদী জনতা ঐক্যপরিষদের’ ব্যানারে এক সমাবেশ থেকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করা হয়।

একই দিনে রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে শানে রিসালাত কনফারেন্সে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হকও প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন।

পরে হাটহাজারীতে এক মাহফিলে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল মামুনুলের। কিন্তু স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ তাকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিলে তাকে ছাড়াই মাহফিল হয়। ওই মাহফিলের প্রধান অতিথি হেফাজতে ইসলামের আমীর জুনাইদ বাবুনগরী হুমকি দেন, যেকোনো দল ভাস্কর্য বসালে তা ‘টেনে হিঁচড়ে ফেলে দেয়া’ হবে।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।

আরো সংবাদ