স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

আরব সাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পের কারণে এ কুয়াশা !

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘন কুয়াশা আর শীতের প্রকোপে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, হালকা বাতাস শুরু হওয়ায় কুয়াশা সরে গিয়ে সূর্যের আলোর দেখা মিলবে, এমন আশা ছিল আবহাওয়াবিদেরা।

ভূমধ্যসাগর থেকে আসা এই কুয়াশা সরে গিয়ে হিমালয়ের পাদদেশে বৃষ্টি হয়ে ঝরে বিদায় নেবে। সেই ভরসায় থাকতে না থাকতে আরব সাগর থেকে আসা বাতাসের সঙ্গে একরাশ জলীয় বাষ্পও হাজির হয়েছে। ফলে চার দিন ধরে জমে থাকা কুয়াশা আরও ঘন হয়ে উঠেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, আরব সাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ুর কারণে এ কুয়াশা তৈরি হয়েছে। এটি আরও দু–এক দিন থাকতে পারে।  সোম–মঙ্গলবার থেকে কুয়াশা কেটে গিয়ে সূর্যের দেখা পাওয়া যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সোমবার সূর্যের দেখা পাওয়ার পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও ধীরে ধীরে তাপমাত্রা আবারও কমতে থাকবে। বিশেষ করে পশ্চিমা লঘুচাপ ছড়িয়ে পড়ায় সারা দেশেই শীতের অনুভূতি বেড়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা দ্রুত কমে উত্তরাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।

শুক্রবার সকাল থেকেই দিনের আলো যেন সন্ধ্যার আঁধারে পরিণত হয়েছে। দিনের তাপমাত্রা খুব বেশি না কমলেও শীতের অনুভূতি কিন্তু বেড়েই চলেছে। রাজধানীর সড়কে তো বটেই, বাড়ির ছাদে–বারান্দায়ও মানুষের বিচরণ কমে গেছে। এমনিতেই শুক্রবার বন্ধের দিন, তার ওপরে ঘন কুয়াশা।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এই ঘন কুয়াশা আরও দু–এক দিন থাকতে পারে। মানে রোববারের আগে আবহাওয়া স্বাভাবিক হচ্ছে না।

আজ রাত বা কাল সকাল থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে শুরু করে ময়মনসিংহ হয়ে রাজধানী পর্যন্ত অনেক এলাকায় ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ ও উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় হালকা বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশা আরও বাড়তে পারে। তবে আগামীকাল শনিবার দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে নদীতীরবর্তী এলাকায় কুয়াশা বাড়তে পারে।

আজ দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ডে—১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরো সংবাদ