স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে রাস্তায় শত বিচারক

মানববন্ধন শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেন বিচারকরা।

কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রামের ১০০ বিচারক।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের দামপাড়া এলাকায় এ মানববন্ধন হয়।

মানববন্ধন শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেন বিচারকরা।

সমাবেশে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে আজ সারা বাংলাদেশ বিক্ষুব্ধ। বিচারকরা বাংলাদেশের নাগরিক। এই প্রতিবাদ তারই অংশ। বিচারকরা বিচার করবে, সাথে প্রতিবাদও করবে।’

‘নাগরিক হিসেবে বিচারকেরও দায়িত্ব আছে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হওয়ার।’

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর দায়রা জজ আশফাকুর রহমান, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওসমান গনি, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।

গত ৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করে দুই মাদ্রাসাছাত্র। এ ঘটনায় ওই দুই ছাত্র ও দুই শিক্ষককে রিমান্ডে পায় পুলিশ।

রাজধানীর ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে ইসলামপন্থি বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটে।

ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনার পর ৭ ডিসেম্বর হেফাজতে ইসলামের আমির জুনাইদ বাবুনগরী, যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন গ্রহণ করে ঢাকার বিচারিক আদালত।

মামলার তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেয়া হয়।

ভাস্কর্য ইস্যুতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামেও মামলার আবেদন করা হয়েছিল বিচারিক আদালতে। তবে আদালত সে আবেদন গ্রহণ করেনি।

আরো সংবাদ