স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

২০২১ সালে কমতে পারে প্রবাসী আয় প্রবাহ: গবেষণা

মহামারীর  কারণে অভিবাসন কম হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবছর প্রবাসী আয় প্রবাহ ৭১.৪৫ শতাংশ কমে গেছে। যা ২০২১ এর রেমিট্যান্স প্রবাহে পতন ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শরণার্থী ও অভিবাসী আন্দোলন গবেষণা ইউনিট (রামরু)।

আজ মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) ‘প্যাটার্ন অ্যান্ড ট্রেন্ডস অফ লেবার মাইগ্রেশন ২০২০: এচিভমেন্ট ও চ্যালেঞ্জস’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই  উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। 

রামরু’র প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেছেন,  “২০২০  এর মার্চে  স্বাভাবিক অভিবাসন অব্যাহত থাকলে, চলতি বছরে ইমিগ্রেশন ৩.৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হয়েছিল। তবে মহামারীর প্রভাবে অভিবাসন গত বছরের তুলনায়  ৭১.৪৫ শতাংশ কমেছে।”

তিনি যোগ করেন, “যারা এই বছর বিদেশে গেছেন তারা পরের বছর থেকে নিয়মিত রেমিট্যান্স পাঠানো শুরু করবেন। যেহেতু এবছর অনেকেই বিদেশ যেতে পারেনি তাই পরবর্তী বছরের বিদেশি মুদ্রার বাংলাদেশমুখী প্রবাহের উপর তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।”

গতবছর সাত লাখেরও বেশি নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত বাংলাদেশি বিদেশে যান, তবে এবছর মার্চ নাগাদ মাত্র ১.৮১ লক্ষ স্বদেশ ত্যাগ করেন।

ড. তাসনিম আশা প্রকাশ্য করেন, “যখন কোভিড -১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তখন আমাদের শ্রমবাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। কারণ, গৃহকর্মী এবং নির্মাণ খাতে শ্রমিকদের চাহিদা আবার বাড়বে।”

তিনি আরও জানান, “রোমানিয়া, পোল্যান্ড, চীন, কম্বোডিয়ার মতো নতুন কয়েকটি শ্রমবাজার আমাদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে।”

বিশ্বব্যাংকের একটি পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২১ সালে প্রবাসী কমে হবে ১৪শ’ কোটি ডলার, যা ২০১২ সালের তুলনায় ২৫ শতাংশ কম,  এমনটা উল্লেখ করেছে রামরু।

২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত অভিবাসী (মাইগ্রেট) শ্রমিকরা ১৯.৬৯ বিলিয়ন টাকা আয় পাঠিয়েছিলেন। প্রবাহের এই ধারা অব্যাহত থাকলে গত বছরের তুলনায় রেমিট্যান্সের পরিমাণ বাড়বে ১৭.৫শতাংশ। 

২০১৯ সালে, রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ১৫৫০.১৪ বিলিয়ন টাকা।

তাই বিশ্বব্যাংকের এই ভবিষ্যদ্বাণী বাংলাদেশের পক্ষে কার্যকর হয়নি বলে জানিয়েছে রামরু।

তবে এবছর রেমিট্যান্সের ক্রমবর্ধমান প্রবণতার পিছনে আলোচিত কারণসমূহ উল্লেখ করেছে সংস্থাটি ।

আরো সংবাদ