স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

উপগ্রহ পরিবহনে এমিরেটসের সফলতা

উপগ্রহ পরিবহনে আবারও সক্ষমতার পরিচয় রেখেছে এমিরেটস এয়ারলাইনের কার্গো পরিবহন শাখা- এমিরেটস স্কাইকার্গো।

সম্প্রতি একটি চার্টার ফ্লাইটে ব্রাজিলের সাও জোসে ডোস ক্যাম্পোস থেকে অ্যামাজোনিয়া-১ নামক একটি উপগ্রহ ভারতের চেন্নাইয়ে নিয়ে এসেছে এমিরেটস স্কাইকার্গো।

সম্পূর্ণভাবে ব্রাজিলে তৈরি উপগ্রহটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে। মহাকাশে পাঠানোর পর অ্যামাজোনিয়া-১ বিশ্বের বৃহত্তম রেইন ফরেস্ট- আমাজান রেইন ফরেস্টের ইকো-সিস্টেম নিরীক্ষণ করবে।

ব্রাজিলের জাতীয় মহাকাশে গবেষণা ইনস্টিটিউটে এই উপগ্রহ তৈরিতে সময় লেগেছে আট বছর। সহজ লোডিং ও আনলোডিং-এর জন্য উপগ্রহটির অংশগুলো আলাদা করে নেয়া হয়। নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবহনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেয় এমিরেটস স্কাইকার্গো।

ব্রাজিলের জাতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র, সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দর ও অন্যান্য সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অত্যন্ত স্পর্শকাতর মোট ২২ টন ওজনের এই কার্গোটি পরিবহনের জন্য দুটি মহড়া সেশনের আয়োজন করা হয়। কার্গোটির সঙ্গে ভ্রমণকারী ব্রাজিল জাতীয় মহাকাশ কেন্দ্রের ৪ জন কর্মকর্তা সারাক্ষণ কার্গোটির অবস্থা নিরীক্ষণ করেন।

উপগ্রহসহ মহাকাশ প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কার্গো পরিবহনে এমিরেটস স্কাইকার্গোর প্রয়োজনীয় সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইতোপূর্বেও ২০১৮ সালে মোহাম্মদ বিন রশিদ মহাকাশ কেন্দ্রে আমিরাতি প্রকৌশলীদের দ্বারা তৈরি একটি উপগ্রহ- খলিফাস্যাট সফলভাবে সিউলে পরিবহন করে কার্গো কেরিয়ারটি।

এমিরেটস স্কাইকার্গো ব্রাজিলের সাও পাওলো ও ভিরাকাপসে নিয়মিত কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশেও নিয়মিত কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করছে এমিরেটস এয়ারলাইনের এই প্রতিষ্ঠানটি।

আরো সংবাদ