স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

ভাসানচরের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ভালো সাড়া মিলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একেএম আব্দুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বিপদে ফেলব এতটা অমানবিক আমরা নই। তাদের অন্য কেউ নিতে আসায় আমরাই আশ্রয় দিয়েছি। আন্তর্জাতিক মহলে ভাসানচরের বিষয়ে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আয়োজিত মুজিববর্ষ উপলক্ষে মারী স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু এডভেঞ্চার উৎসব উদ্বোধনকালে সোমবার (১১ জানুয়ারি) সকালে তিনি এসব কথা বলেন। পাঁচ দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু এডভেঞ্চার উৎসবে সারা দেশের ১০০ অংশগ্রহণকারী পর্বতারোহণ, নৌবিহার, কায়াকিং, হাইকিং ও ট্রেইল রান, টিম বিল্ডিংসহ বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিচ্ছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর এডভেঞ্চার উৎসব সম্পন্ন হবে।

রোহিঙ্গাদের বর্তমান ক্যাম্পগুলো ক্ষণস্থায়ী জানিয়ে তিনি বলেন, কুতুপালংয়ে পাহাড়ধস হয়ে মানুষ মারা গিয়েছিল। সামনের মৌসুমে এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে আমাদের ভয় রয়েছে। তাই ২২-২৩ হাজার পরিবারকে ভাসানচরে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কুতুপালংয়ে কাজ করার সুযোগ ছিল না। তবে মিয়ানমারে তারা মাছ ধরা, কৃষিকাজসহ যে ধরনের কাজ করতেন সে ধরনের কাজ তারা ভাসানচরে করতে পারবেন। এতে সন্ত্রাসবাদের সম্ভাবনা কম।

আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রথমে আমরা ১ হাজার ৬৪২ জনকে ভাসানচরে নিয়েছি। তবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ওখানে যেতে না চাওয়ার কারণে তা অনেক দীর্ঘায়িত হয়েছে। তারা ভাসানচরকে ভাসমান বলে ইস্যু করলেও আমরা মঙ্গল চাই বলে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

মন্ত্রী বলেন, সাড়ে ৩ বছরেও একজন রোহিঙ্গাও ফেরত যায়নি। আমরা আশাবাদী তারা যাবে। তারা না গেলে আমাদের বিপদ। অনেক দিন ধরে এতগুলো মানুষ থাকলে নানা রকম ষড়যন্ত্র হবে। এদের মধ্যে যদি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তৈরি হয় আমাদের ও মিয়ানমারের জন্য ক্ষতিকর। যা ভারত, চীন এবং জাপানও বোঝে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে এ সময় খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, রিজিয়ন কমান্ডার মো. ইফতেকুর রহমান, বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নিজামি, জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

আরো সংবাদ