স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে নমনীয় মিয়ানমার, সম্মত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (বছরের মাঝামাঝি) রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে কিছুটা নমনীয় অবস্থান দেখিয়েছে মিয়ানমার।

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে ত্রিপক্ষীয় ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে একথা জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দ্বিপক্ষীয় যে চুক্তি আছে, তা যদি অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়, সেখানে ১০ লাখের বেশিমানুষকে নিয়ে যেতে বছরের পর বছর লেগে যাবে। গত তিন বছরে ৯০ হাজার নতুন বাচ্চাও জন্মগ্রহণ করেছে। আমরা প্রথম প্রান্তিকে (প্রথম তিন মাস) প্রত্যাবাসন শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু, ব্যবস্থাপনার জন্য আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার। তাই আমরা দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রত্যাবাসনের কথা বলেছি। তারা এতে সম্মত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সময় রাখাইনে আন্তর্জাতিক সংস্থার উপস্থিতি বিষয়ক প্রস্তাবে চীন ও মিয়ানমার ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।’ ভার্চুয়াল ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে রোহিঙ্গাদের গ্রাম-ভিত্তিক প্রত্যাবাসনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে, মিয়ানমারের পক্ষ থেকে কক্সবাজারের ক্যাম্পে বসবাসকারী প্রায় আট লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে ইতোমধ্যে যাচাই করা ৪২ হাজার জনকে দিয়ে প্রত্যাবাসন শুরুর কথা বলা হয়েছে।

রোহিঙ্গারা যেন মিয়ানমারের আইন-কানুন মেনে চলে, বৈঠকে এ বিষয়ে আশ্বাস চায় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। তারা আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা এআরএসএ-এর উপস্থিতির বিষয়টিও উল্লেখ করে।

আরো সংবাদ