স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

কক্সবাজারের প্রাচীন, ক্ষুদ্রকায় মসজিদের সন্ধান

পর্যটন নগর কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়ক এলাকায় প্রাচীন ও ক্ষুদ্রতম একটি মসজিদের সন্ধান মিলেছে। টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা এলাকায় এই মসজিদের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। সম্প্রতি কয়েকজন যুবক জঙ্গল পরিস্কার করে মসজিদটির পুরো চিত্র বের করে আনে।

কক্সবাজারের নতুন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ মসজিদটি সম্প্রতি পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী বলছেন, প্রাচীন এই মসজিদ সম্পর্কে তারা পূর্ব পুরুষদের কাছ থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম শুনে আসছেন। কয়েক’শ বছর পুরোনো মসজিদ বলছিল পূর্বপুরুষেরা। মসজিদটি জঙ্গলে ঢাকা থাকায় কেউ সেখানে যেত না, এমনকি অনেকের চোখেই পড়েনি। মসজিদটির আশপাশের গাছ ও তার শেকড় ভবনটির বাইরের অংশকে ঢেকে রেখেছিল।

দেখা যাচ্ছে, এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটির দেয়াল ঘেঁষে একটি বড় মিম্বার রয়েছে। বাইরের দৈর্ঘ্য (উত্তর-দক্ষিণ) মিম্বারসহ ১৬ ফুট এবং বাইরের প্রস্থ (পূর্ব-পশ্চিম) ১২ ফুট। মসজিদটির ভেতরের দৈর্ঘ্য ৭ ফুট এবং প্রস্থ ৬ ফুট। মসজিদটির একটি মেহরাব রয়েছে এবং দেয়ালে ছোট ছোট কয়েকটি খোপ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মসজিদটি পোড়া ইট, বালু, চুন এবং সুরকি দিয়ে নির্মিত।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘পূর্ব পুরুষদের কথা মতে এটি কয়েক’শ বছর আগের পুরোনো মসজিদ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরও এখানে লোকজন নামাজ আদায় করেছিল। পূর্ব পুরুষরা বলেছেন, বহু বছর আগে বিদেশ থেকে কয়েকজন পীর এদেশে এসে ইসলাম প্রচার করতে এসে এই জায়গাতে থাকতেন। তারাই সম্ভবত এই মসজিদটি তৈরি করেছিলেন নামাজ আদায়ের জন্য’।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিজ উদ্দন বলেন, মেরিন ড্রাইভের পশ্চিমে বনলতার আড়ালে যে সজিদের সন্ধান মিলেছে এটি যে ক্ষুদ্রতম প্রাচীন মসজিদ তাতে কোন সন্দেহ নেই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

মেরিন ড্রাইভের পশ্চিমে সকল ধরনের ভবন নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় মসজিদটির সংস্কার করা যাচ্ছে না। অনুমতি পেলে এটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

তাওহীদুল ইসলাম নূরী নামে এক সমাজকর্মী বলেন, ‘প্রাচীন এই মসজিদটির পুরাকৃর্তি অক্ষুণ্ন রেখে নতুন রূপে সংস্কার করলে সেটি ঐতিহ্য হয়ে থাকবে এবং সংস্কারের পর মসজিদের ভেতরে পুরাকীর্তি দৃশ্যমান হলে অনেক দেশি-বিদেশি দর্শনার্থী আসবে।’

আরো সংবাদ