স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

শৃঙ্খলা ভাঙায় নিজ দল থেকে বহিস্কার নেপালের প্রধানমন্ত্রী

পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার জেরে নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই নিজ দল থেকে বহিস্কার হলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। রোববার (২৪ জানুয়ারি) দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে তাঁর সদস্যপদ বাতিল করে নেতৃবৃন্দ। তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দ্য হিন্দু পত্রিকা জানায়, দলের বিদ্রোহী নেতা পুষ্প কামাল দাহাল ‘প্রচন্দ’ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপালের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি রবিবার প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। এমনিতেই দলীয় প্রতীয়ক নিয়ে দলের মধ্যে বিতর্ক চলছিল তারউপর এই সিদ্ধান্ত দলের মধ্য বিভক্তিকে আরো চাঙ্গা করেছে। দেশটির নির্বাচন কমিশন দলটির উভয় পক্ষকে সরকারী দল হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

কাঠমন্ডু পোস্ট জানায়, দলে তাঁর বিরোধীপক্ষ সদস্যপদ বাতিল করার হুমকি দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা বাস্তবায়ন করলো। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‌‌‌‘দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ওলির সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। ওলি আর দলের সদস্য নন।’

নারায়ণ কাজি বলেন, ‘আমরা অনেক সহ্য করেছি, তিনি আমাদের আহ্বানে সারা দেননি। দলের নির্বাহী ক্ষমতাবলে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

ওলি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও এনেছেন প্রাক্তন মাওবাদী বিপ্লবীরা। এ ছাড়া করোনা মোকাবেলায় সরকারের ব্যর্থতা নিয়েও সরব হয়েছে বিরোধীগোষ্ঠী। একইসঙ্গে ভারতের সখ্যতা উপেক্ষা করে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি নিয়েও বিরোধীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন ওলি।

তিন বছর আগে নির্বাচনে জয়লাভ করে নেপালে এনসিপি ও প্রাক্তন মাওবাদী বিপ্লবীদের জোট ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী হন ওলি। পূর্ব শর্ত অনুযায়ী শাসনকালের পাঁচ বছরের মেয়াদ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছিলেন ওলি এবং বিপ্লবী নেতাপুষ্প কুমার দহল ওরফে প্রচণ্ড। কিন্তু সেই শর্ত উপেক্ষা করে নির্দিষ্ট সময়ে প্রচণ্ডের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করেন ওলি। এই নিয়ে দুই পক্ষে মধ্যে সৃষ্টি হয় মতবিরোধ।

আরো সংবাদ