স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

মধ্যপ্রাচ্যে দক্ষ চালক পাঠাতে একনেকে উঠছে প্রকল্প

সৌদি আরবের বাসাবাড়িতে প্রায় এক লাখ দক্ষ গাড়ি চালকের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও বাংলাদেশি দক্ষ চালকের চাহিদা রয়েছে।

আর সেই লক্ষ্যে দেশের ৬১টি জেলার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এসব চালকদের পরীক্ষা ও লাইসেন্স দেওয়ার জন্য সৌদি আরবের দাল্লাহ আল বাকারা কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চলছে। কোম্পানিটি বাংলাদেশি চালকদের প্রশিক্ষণ শেষে পরীক্ষা নেবে এবং লাইসেন্স দেবে।

সৌদি আরবের এই কোম্পানি ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। লাইসেন্স পাওয়ার পর চালকরা পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী তেলসমৃদ্ধ জিসিসিভুক্ত (গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল) দেশে ড্রাইভিং পেশায় কাজ করতে পারবেন। জিসিসিভুক্ত দেশগুলো হলো—কাতার, বাহরাইন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও কুয়েত।

‘যানবাহন চালনা প্রশিক্ষণ’ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠেয় একনেক বৈঠকে প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে।

১০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। প্রকল্পের আওতায় দেশে পরিবহন খাতের জন্য দক্ষ গাড়ি চালক তৈরি করা,  বেকার যুবকদের জন্য পরিবহন খাতে কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং যুবকদের দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি টেকসই জীবিকা নিশ্চিত করাও অন্যতম উদ্দেশ্য। ৮টি বিভাগের ৪০টি জেলায় প্রকল্পটি চলতি সময় থেকে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর জানায়, ৪০ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ, ৮০টি যানবাহন, ৪৩টি কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম কেনা, ৪০৫টি অফিস সরঞ্জাম, ৪ হাজার ৭০৮টি আসবাবপত্রসহ প্রশিক্ষণ যন্ত্রপাতি কেনা হবে। প্রশিক্ষণ ও চাকরি বাজারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন এবং যুব সমাজকে যুব সম্পদে রূপান্তরের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়টি মাথায় রেখে প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (যুব) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বাংলানিউজকে বলেন, দেশে বিদেশে অনেক দক্ষ চালক প্রয়োজন। ফলে দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নিয়েই প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দক্ষ গাড়ি চালক তৈরি হবে। দক্ষ গাড়িচালক বিদেশে কর্মরত হলে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে দক্ষ গাড়িচালকরা প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখবে।

আরো সংবাদ