করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮ হাজার ১৬২ জনে।
এছাড়া কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে আরও ৪৩৮ জনের দেহে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৫ জন।
বুধবার দুপুরে করোনাভাইরাসের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, আরটি পিসিআর, জিন এক্সপার্ট ও র্যাপিড এন্টিজেনসহ ১৮০টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৯৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬৩৪টি।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫৭৮ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট ৪ লাখ ৮১ হাজার ৩০৬ জন সেরে উঠলেন প্রাণঘাতি এই ভাইরাস থেকে।
মোট নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৭০ শতাংশ, মৃতের হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ।
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য একটি বিশেষ ওয়েবসাইট (www.corona.gov.bd) চালু রেখেছে সরকার।
এক নজরে বাংলাদেশের করোনাচিত্র:
মোট শনাক্ত: ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৫ জন।
মারা গেছেন: ৮ হাজার ১৬২ জন।
মোট সুস্থ: ৪ লাখ ৮১ হাজার ৩০৬ জন।
মোট নমুনা পরীক্ষা: ৩৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬৩৪টি।
এদিকে, করোনার পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টা পর্যন্ত বৈশ্বিক এ মহামারিতে সারা বিশ্বে ১০ কোটি ৪৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৭৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭ কোটি ৬৩ লাখ ৪২ হাজার ২৬০ জন সেরে উঠলেও প্রাণ গেছে ২২ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫৩ জনের। বাকি ২ কোটি ৫৮ লাখ ৪৭ হাজার ১০১ জন মৃদু বা মারাত্মক উপসর্গ নিয়ে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছেন।
ডিসেম্বরে চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। ওইদিন তিন জন করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা। এরপর বছরের আগস্ট সেপ্টেম্বরে এসে তা কিছুটা কমে যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তদের তথ্য অনুযায়ী গত কয়েকমাস থেকে দেশে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমছে।