স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা সাদেকুন্নুর সিকদারের মৃত্যু, তথ্যমন্ত্রীর শোক

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা সাদেকুন্নুর সিকদার আর নেই।

শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নগরের পার্কভিউ হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে…রাজেউন)। দীর্ঘদিন তিনি দুরারোগ্য ক্যান্সারে ভুগছিলেন।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন মেয়ে, দুই ছেলে, পুত্রবধূ, জামাতা, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও রাজনৈতিক শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।

সাদেকুন্নুর সিকদার ষাটের দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা। সেসময় চট্টগ্রামের ছাত্রলীগের রাজনীতিকে জনপ্রিয় ও শক্তিশালী করতে যে কয়জন মেধাবী ছাত্রনেতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সাদেকুন্নুর সিকদার তাদের অন্যতম। তিনি ১৯৬১ সালে রাঙ্গুনিয়া আদর্শ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করে চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ১৯৬২ সালে তিনি চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার কমিটির সভাপতি ছিলেন আবু সালেহ (সাতকানিয়া)।

১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলন অংশ নিতে গিয়ে লালদিঘী এলাকায় নির্মম পুলিশী নির্যাতনের শিকার হন সাদেকুন্নুর সিকদার।

ছাত্রলীগের রাজনীতি ছেড়ে একটা সময়ে তিনি যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৭৪ সালে তিনি রাঙ্গুনিয়া থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১৯৭৭ সালে থানা যুবলীগের সভাপতি হন। পরবর্তীতে তিনি দুদুবার রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সাদেকুন্নুর সিকদার চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার প্রয়াত সাদেকুন্নুর সিকদারের ছোট ভাই এবং চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য কামরুল ইসলাম চৌধুরী তাঁর জামাতা। সাদেকুন্নুর সিকদারের মৃত্যুতে রাঙ্গুনিয়ার আওয়ামী পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এদিকে, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সাদেকুন্নুর সিকদারের মৃত্যুতে রাঙ্গুনিয়া থেকে নির্বাচিত সাংসদ তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। এক শোকবার্তায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত ৬০ বছর ধরে রাঙ্গুনিয়া আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে যে ক’জন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন সাদেকুন্নুর সিকদার তাদের অন্যতম। তাঁর মৃত্যু আওয়ামী লীগের অপূরণীয় ক্ষতি বলেও তথ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

আরো সংবাদ