স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং। বুধবার (২৪ মার্চ) বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন দুই দেশের সরকার প্রধান।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে লোটে শেরিংকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর তিনি সেখানে পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং সেদেশের রাজার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে যোগ দিতে ঢাকায় এলে তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাল গালিচা সংবর্ধনা জানান। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।

বিমানবন্দর থেকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সরাসরি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে সেখানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে গিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বিকেলে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। রাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং গতকাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বল রুমে নৈশভোজের আয়োজনে যোগ দেন।

মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য এবং পদস্থ সরকারি-বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বুধবার বিকেলে বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ন্যাশনাল প্যারেড স্কয়ারের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানাবেন।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং হচ্ছেন চতুর্থ বিশ্ব নেতা।

‘দি ইটারনাল মুজিব’ থিম নিয়ে ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী এ উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সর্বশেষ বিশ্বনেতা হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৬ মার্চ ঢাকা পৌঁছাবেন ও  ২৭ মার্চ ঢাকা ত্যাগ করবেন।

এর আগে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মাদ সোলিহ ও তার স্ত্রী ফাজনা আহমেদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে এবং নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

আরো সংবাদ