স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

কোথাও মিছিল কোথাও অবরোধ হেফাজতের

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থানের মধ্যেই শুক্রবার মোদিবিরোধীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পাঁচজন মারা যান। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ হেফাজতের ডাকা হরতালে অপ্রীতিকর কোনো পরিস্থিতি এড়াতে দেশব্যাপী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়কের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যাচ্ছে ঢিলেঢালাভাবে পালিত হচ্ছে হরতাল। রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা অন্য দিনগুলোর চেয়ে কম। ফলে বাসে উঠতে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে এরই মধ্যে রাজধানীর পল্টনসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল করতে দেখা গেছে হেফাজত সমর্থকদের। 

হরতালকে কেন্দ্র করে নরসিংদী সদরের জেলখানার মোড় এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছেন হেফাজত নেতারা। সকাল ৭টা থেকে তারা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।

বাশাইল থেকে জেলখানার মূল গেট সংলগ্ন প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে হেফাজতের কর্মীদের মিছিল করতে দেখা গেছে। মিছিলে প্রায় তিন হাজার কর্মী অংশ নেন। এর ফলে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মালবাহী ট্রাকের সারি দেখা গেছে। 

সুনামগঞ্জে ভোর থেকে লাঠি হাতে সড়কে অবস্থান নিতে দেখা গেছে হেফাজতের কর্মীদের। সড়কে কোনো ধরনের যান চলাচল করতে দিচ্ছেন না তারা। এতে বিপাকে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অভ্যন্তরীণ পরিবহন চলাচলে বাধা দিচ্ছেন হেফাজত কর্মীরা। রিকশা, অটোরিকশার চাকার হাওয়া ছেড়ে দিচ্ছেন। মোটরসাইকেলে করে লাঠি হাতে শোডাউন করছেন। সেখান থেকে জিহাদের ডাক দিচ্ছেন। প্রশাসনের সামনে এমন পিকেটিং করলেও নিরব রয়েছে তারা।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর পল্টনে হেফাজতে ইসলাম ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষকেই ইট পাটকেল ছুড়তে দেখা যায়।

পল্টন এলাকায় মিছিল করেছে হেফাজতে ইসলাম। এতে সংগঠনটির কয়েকশ কর্মী অংশ নেন। মিছিল থেকে হেফাজতের সমর্থকরা নানা রকম স্লোগান দেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিলটি বের হয়ে দৈনিক বাংলা মোড়, নাইটিঙ্গেল হয়ে পুরানা পল্টনে যায়। সেখান থেকে মিছিলটি আবার বায়তুল মোকাররমে এসে শেষ হয়।

চিটাগাং রোড, সানারপার ও সাইনবোর্ড এলাকাতেও হরতাল সমর্থকরা টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। মোহাম্মদপুরেও সড়ক অবরোধ করেছেন হরতাল সমর্থকরা।

দুপুর ১২টা পর্যন্ত অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। যাত্রাবাড়ী, কাজলা, শনির আখড়া ঘুরে দেখা যায়, হরতালের কারণে অন্যান্য দিনের তুলনায় রাস্তায় গণপরিবহন ও লোক সমাগম অনেকটাই কম। মোড়ে মোড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। নতুন বাজার এলাকাতেও অন্যান্য দিনের চেয়ে কম গাড়ি দেখা যাচ্ছে।

সাত মসজিদ রোড, এলিফ্যান্ট রোড, শাহবাগ এবং প্রেস ক্লাব এলাকাতে দেখা গেছে সীমিত সংখ্যক বাস চলছে।

আরো সংবাদ