স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

দুবাইয়ের হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় মনির খান

মাদারীপুর জেলার শিবচরের উৎরাইল গ্রামের মনির খান। গত ১৪ বছর আগে পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য পাড়ি জমান মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুবাইয়ে।

সেখানে একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে শ্রমিকের কাজ করেন তিনি। 

গত ১৮ মার্চ  কাজ করতে গিয়ে একটি বহুতল ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন মনির খান। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে দুবাইয়ের রশিদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কাজ করতে গিয়ে বিল্ডিং থেকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি। এর পর থেকেই জ্ঞানহীন অবস্থায় হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন। মালিকপক্ষ তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর রাখছে না বলে জানা গেছে। জ্ঞানহীন অবস্থায় মনির খান দুবাইয়ের রশিদ হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ২বি শয্যায় রয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার পর তার মাথায় বড় ধরনের অস্ত্রপচার হয়েছে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি। হাসপাতালে ভর্তির পরের দিন বাংলাদেশি পরিচিত এক ব্যক্তি তাকে দেখতে গিয়েছিল। এর পর থেকে তার সঙ্গে দেখা করতেও দিচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে মালিক পক্ষ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত মনির হোসেনকে মাদকাসক্ত বলেও প্রচার করছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও তার সব কাগজপত্রও মালিকপক্ষ আটকে রেখেছে বলে জানায় তার পরিবার। 

মনির খানের স্ত্রী লাভলী বেগম বলেন, গত ১৮ মার্চ কাজ করতে গিয়ে আমার স্বামী গুরুতর আহত হয়। বাড়িতে দুইদিন পরে আমরা খবর পাই। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরে তার পরিচিত একজন দেখতে গিয়েছিল। আইসিইউতে রাখার পর আর তাকে দেখতে যেতে পারেনি। ১০ দিন পার হয়ে গেছে সে হাসপাতালে পড়ে আছে। আমরা কোনো খোঁজ-খবর নিতে পারছি না। দুবাইতে সে ভারতীয় মালিকের অধীনে কাজ করতো।

তিনি আরো বলেন, মালিক পক্ষের লোকজন চিকিৎসার খরচও দিচ্ছে না বলে জানতে পেরেছি। তার চিকিৎসাও ঠিকমত হচ্ছে না। তিনি বেঁচে আছেন কিনা তারও কোনো খবর নাই।

প্রবাসী মনির খানের ১৫ বছর বয়সী ছেলে সাজিম খান বলে, আমার আব্বার চিকিৎসা হচ্ছে না সেখানে। আমরা কেউ তার কোনো খোঁজ-খবর নিতে পারছি না। আমরা সরকারের কাছে সাহায্য চাই। তার চিকিৎসা নিশ্চিত করে দেশে আনতে চাই।

আরো সংবাদ