উখিয়ায় রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কুতুপালং বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে তিন রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তিন ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে ২০টির মত দোকান পুড়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। নিহত তিনজনের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছর। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস ।
আজ শুক্রবার (২ এপ্রিল) ভোর ৩টার দিকে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের রোহিঙ্গা শিবির সংলগ্ন কুতুপালং বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন- আনসারুল্লাহ, ফরিদুল ইসলাম ও মুহাম্মদ আয়াছ।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের দলনেতা ইমদাদুল হক অগ্নিকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভোরে আগুন লরাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন।
রাজাপালং ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বাজার কমিটির সভাপতি হেলাল উদ্দিন একুশে পত্রিকাকে বলেন, ভোর ৩টার দিকে ফোনে জানতে পারি বাজারে আগুন লেগেছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে ফায়ারসার্ভিস ও প্রশাসনকে অবগত করি।
উল্লেখ্য যে, গত ২২ শেষ মার্চ সোমবার উখিয়ার বালুখালীসহ পাঁচটি আশ্রয় শিবিরে আগুনে ১০হাজার বসতি পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ছয় শিশুসহ অন্তত ১১জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৪৫০জন, গৃহহীন হয়েছিল ৪৫হাজার মানুষ।