স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

৭ এপ্রিল থেকে ১১ সিটিতে চলবে গণপরিবহন

ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের ১১ সিটি করপোরেশন এলাকায় অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে এসব এলাকায় গণপরিবহন চালানো যাবে। তবে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যেই বন্ধ করে দিতে হবে পরিবহন। আর এগুলো সিটি করপোরেশনের বাইরে যেতে পারবে না।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন। এসময় তিনি জানান, সিটির অভ্যন্তরে গণপরিবহন চললেও দূরপাল্লার বাসসহ অন্যান্য গণপরিবহন যথারীতি বন্ধ থাকবে।

রাজধানী ঢাকা ছাড়া বাকি যেসব সিটি করপোরেশনে গণপরিহন চলাচলের অনুমতি মিলেছে সেগুলো হলো— চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ।

ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও জনসাধারণের যাতায়াতে দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার গণপরিবহনে চলাচলের বিষয়টি শর্তসাপেক্ষে পুনর্বিবেচনা করে অনুমোদন দিয়েছে। দেশের কেবল সিটি করপোরেশন এলাকাগুলোতেই করপোরেশনের অধীন সড়কে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহন চলাচল করবে।

গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। যাত্রীদের কাছ থেকে সমন্বয় করা ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া নেওয়া যাবে না বলেও জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতি ট্রিপের শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে হবে। পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, কোনোভাবেই সমন্বয় করা ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দূরপাল্লায় গণপরিবহন যথারীতি বন্ধ থাকবে।

আগামীকাল বুধবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। একইসঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে সরকারের নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে প্রতিপালনে পরিবহন মালিক শ্রমিক ও যাত্রীদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

আরো সংবাদ