স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

বেশিরভাগ মৃত্যুদণ্ডই মধ্যপ্রাচ্যে !

বিশ্বে প্রতি বছর শাস্তি হিসাবে যত মৃত্যুদণ্ড তার বেশির ভাগই দেওয়া হয় চীন ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। বিশ্বে গত বছর তথা ২০২০ সালে যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তার চারটিই মধ্যপ্রাচ্যে।

বিশ্বে প্রতি বছর শাস্তি হিসাবে যত মৃত্যুদণ্ড তার বেশির ভাগই দেওয়া হয় চীন ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। বিশ্বে গত বছর তথা ২০২০ সালে যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তার চারটিই মধ্যপ্রাচ্যে।

তবে গত এক দশকের তুলনায় ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে হ্রাস পেয়েছে মৃত্যুদণ্ড। মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বিবিসি।

মানবাধিকার সংস্থাটি তাদের প্রকাশ করা এক রিপোর্টে বলছে, গত বছর গোটা বিশ্বে যে ৪৮৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে, তার ৮৮ শতাংশই হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের চারটি দেশ-ইরান, মিসর, ইরাক এবং সৌদি আরবে।

অ্যামনেস্টি বলছে, বাকি দুনিয়ার বেশির ভাগ দেশ যখন এক মারাত্মক ভাইরাস থেকে মানুষকে রক্ষার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে, তার মধ্যেও এসব দেশ ‘নিষ্ঠুরভাবে এবং ঠাণ্ডা-মাথায়’ এই কাজ অব্যাহত রেখেছে।

অ্যামনেস্টির এই রিপোর্ট অনুযায়ী গত এক দশকের মধ্যে গত বছরই সবচেয়ে কম সংখ্যায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, তবে অ্যামনেস্টির এই সংখ্যায় চীনকে রাখা হয়নি।

ধারণা করা হয়, চীনে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে চীনে মৃত্যুদণ্ডের তথ্য রাষ্ট্রীয়ভাবে গোপন রাখা হয়। উত্তর কোরিয়া এবং ভিয়েতনামেও এই বিষয়ে একই রকম কঠোর গোপনীয়তা রয়েছে, ফলে এসব দেশের পরিস্থিতি যাচাই করা প্রায় অসম্ভব।

গত বছর ১৮টি দেশে যে ৪৮৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা অ্যামনেস্টির রিপোর্টে রয়েছে, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ২৬ শতাংশ কম। সে বছর কার্যকর করা হয়েছিল ৬৫৭ জনের মৃত্যুদণ্ড। অ্যামনেস্টির রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল, এক হাজার ৬৩৪ জনের। সেখান থেকে গত বছর তা কমে আসে ৭০ শতাংশ। মধ্যপ্রাচ্যে সার্বিকভাবে কার্যকর করা মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা ২০১৯ সালের ৫৭৯ হতে ২০২০ সালে ৪৩০ এ নেমে এসেছে।

গত বছর মূলত সৌদি আরব এবং ইরাকে সরকারি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনা কমে যাওয়ার কারণেই মধ্যপ্রাচ্যে এই সংখ্যা কমেছে বলে মনে করা হয়। গত বছর সৌদি আরবে সরকারি হিসেবে ২৭ জনের দণ্ড কার্যকর করা হয়, যা আগের বছরের তুলনায় ৮০ শতাংশ কম।

আরো সংবাদ