স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

‘বড় বোন ঢাকায় এসে দেখলো ফ্যানে ঝুলছে মুনিয়া’

রাজধানীর গুলশানে বিলাশবহুল একটা ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান (মুনিয়া) নামের এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গুলশান ২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের একটি ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মুনিয়া মিরপুরের ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবার নাম মৃত শফিকুর রহমান। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা সদরের দক্ষিণপাড়া উজির দিঘি এলাকায়।

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। তিনি বলেন, মেয়েটিকে প্রথমে তার বোন ফ্যানে ঝুলে থাকতে দেখে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। আমরা যাচাই-বাছাই করছি।

নাম গোপন রাখার শর্তে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, মুনিয়ার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি ঢাকায় গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। ফ্ল্যাটটির ভাড়া প্রায় এক লাখ টাকা। মুনিয়া রবিবার (২৫ এপ্রিল) তার বড় বোনকে ফোন করে বলেন, তিনি ঝামেলায় পড়েছেন। এ কথা শুনে তার বড় বোন সোমবার কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসেন। ঢাকায় এসে তিনি ফোন বন্ধ পান। সন্ধ্যার দিকে ফ্ল্যাট না খুললে বাইরে থেকে ‘লক’ খুলে ঘরে ঢুকে বোন। তখন মুনিয়াকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। পরে বাড়িওয়ালাকে বিষয়টি জানালে তারা পুলিশে খবর দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে মোসারাত জাহানের পরিচয় ছিল। তিনি ওই মেয়েকে এক লাখ টাকা মাসিক ভাড়ায় ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়ে দেন। তিনি নিয়মিত ওই ফ্ল্যাটে যাতায়াত করতেন।

পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, মেয়েটি কেন আত্মহত্যা করেছে এবং এর পেছনে কারো ইন্ধন রয়েছে কি না তা আমরা খতিয়ে দেখছি। ওই বাসা থেকে কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। ওই বাসায় কার যাতায়াত ছিল তা জানার চেষ্টা চলছে।

এই ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা ( নং ২৭) হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। তিনি জানান, ওই বাসার সিসিটিভি জব্দ করা হয়েছে।

আরো সংবাদ